করোনা রুখতে লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 1, 2020 গত 24 মার্চ থেকে যে লকডাউন শুরু হয়েছে তা দুই ধাপ সম্পন্ন করার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে যেভাবে করোনা সংকট প্রবলভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মনে, তা থেকে বাঁচার জন্যই লকডাউন শুরু হয়েছিল। তবে এবার আবার শুরু হয়েছে লকডাউন ওঠা নিয়ে নানান গুঞ্জন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন বলে জানা গেছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে সেই ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন আগামীদিনের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তি দিয়ে এদিন বিভিন্নভাবে রাজ্যের কথা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন জানিয়েছেন, ‘আমি অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গেও কথা বলব। তারা কী পরিকল্পনা নিচ্ছে, সেটাও জানা দরকার।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে যে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলি হলো, প্রথমত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত। একইভাবে আন্তর্জাতিক সীমানাও বন্ধ করে রাখতে হবে। এরপরে আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা বলেন তিনি এবং দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত দোকান খোলার। আর তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিন তিনি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছেন, একদিকে কেন্দ্র যদি লকডাউন কড়াভাবে মেনে চলার কথা বলেন, তাহলে দোকান বাজার খুললে সেই লকডাউন কিভাবে মেনে চলা যাবে? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এই মুহূর্তে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন জায়গা ইতিমধ্যে বিভিন্ন জোনে ভাগ হয়ে গেছে করোনা পরিস্থিতির বিচারে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠাতে যাতে একটা ক্ল্যারিটি দেয় আমাদের। রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন জোন গুলির ক্যাপাসিটি কি হবে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আশা করি ক্ল্যারিটি দেওয়া হবে। সেন্ট্রাল পলিসি ঠিক করে দেয়, প্রয়োগ করতে হয় রাজ্যকে।’ প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন এর জেরে সারাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি রীতিমত তলানীতে। এই অবস্থায় প্রত্যেকেরই আশা ছিল কেন্দ্রীয় সরকার কোনো আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে ব্যাপারে কোন কথা বলেননি বলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এইমুহুর্তে মুখ থুবড়ে পড়ার সমান। সেই অবস্থায় নতুন করে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্র খুব স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকি নেয়নি, তা বোঝাই যাচ্ছে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -