জল্পনা বাড়িয়ে মোদী-নির্মলা নন, MSME-গুলির গলাতে মমতার কথার প্রতিধ্বনি! কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য May 15, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এখন লকডাউন চলছে। তবে দীর্ঘদিন লকডাউন চলার ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মনে। আর এরই মাঝে দেশের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করার পর অনেকেই খুশি হবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই এর চরম বিরোধিতা করে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের প্যাকেজ ঘোষণা করাকে বিগ জিরো বলে আখ্যা দেন তিনি। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে হেঁটেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করল দেশের এমএসএমই সংস্থাগুলো। এই সংস্থাগুলোর দাবি, যেখানে নগদ অর্থের পরিমাণ মানুষের হাতে কমছে, সেখানে সরকারের নতুন ঘোষণা লোক দেখানো একটি বিষয়। যেখানে চাহিদা কমছে, সেখানেই আর্থিক প্যাকেজ কিছুই নয়। গোটা দেশের শিল্পোদ্যোগ আপাতত ভেন্টিলেশনে রয়েছে। সেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন। এই মুহূর্তে তাদের জনসমর্থন না হলে তিন-চার মাস বিপর্যয় আসতে পারে। বস্তুত, সম্প্রতি আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “তিন লক্ষ কোটি টাকা ক্ষুদ্র, মধ্যম শিল্পের ক্ষেত্রে সাহায্য করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো গ্যারান্টির প্রয়োজন হবে না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি আরও বলেন, “তাই আর্থিক প্যাকেজে দেশের ক্ষুদ্র ছোট শিল্পের জন্য নানা পদক্ষেপ করা হবে। এক্ষেত্রে তিন লক্ষ কোটি ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। চার বছরের মেয়াদ হবে এই ঋনের। 12 মাস পর্যন্ত মূলধনে পরিশোধ করতে হবে না।” আর এরপরই এর চরম বিরোধিতা শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করার পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু এবার তৃণমূল নেত্রীর কথাকেই কার্যত সমর্থন জানিয়ে এসইএমই সংস্থাগুলো যেভাবে কেন্দ্রের বিরোধিতা শুরু করলেন, তাতে রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। করোনা পরিস্থিতিতে খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে, ফলে হাত পড়ছে জমানো পুঁজিতে। এদিকে খুব দ্রুত কাজ হারানোর ভয় গ্রাস করছে বিভিন্ন শিল্পমহলকে। তাই কেন্দ্রের পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে ছিল কার্যত সবাই – কিন্তু সেখানে এই হতাশার বাণী বাজারকে খুব একটা চাঙ্গা করতে পারবে কি? সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে, করোনার আগে থেকেই বিশ্বব্যাপী এক আর্থিক মন্দার ছবি ফুটে উঠছিল, বাড়ছিল বেকারত্ব। করোনা পরবর্তীকালে তা আরও ত্বরান্বিত হতে পারে। ফলে, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের অবস্থা হয়ে উঠতে পারে সঙ্গিন। আর তাই এমএসএমই সেক্টরের এই ক্ষোভের পর – এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -