মমতা ব্যানার্জির হাত থেকে নেতৃত্বের ব্যাটনটাই চলে গেছে! করোনা আবহে আবারো বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 20, 2020 ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে দেশের সব বিরোধীরা একজোট হয়ে মোদী সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন। তা নিয়ে অনেক বৈঠকও হয়েছে, আর সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তার মধ্যমনি। তাঁর উদ্যোগেই বিরোধীরা একজোট হয়েছিলেন। দাবি করা হয়েছিল বিরোধীরা জোট সরকার গড়বে, তবে সেই জোট সরকারের কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে কিছু ঠিক না হলেও তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল এবার ২০১৯ এ জোট সরকার ক্ষমতায় আসবে আর তার প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু তা হয়নি রাজ্যে ১৮ টি আসন পেয়েছিলো বিজেপি। আর গোটা দেশে ফের বড় সংখ্যক আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছিলো মোদী সরকার। বিরোধীদের জোট সরকার সেই ঝড়ের কাছে উড়ে গিয়েছিলো। ভেঙে যায় সেই জোট ও। তবে বিরোধীদের বিরোধিতা থামেনি। বিভিন্ন ইস্যুতে এখনো বিরোধীরা কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। এখন চলছে করোনা পরিস্থিতি আর এখানেও ঠিকমতো সাহায্য না পাওয়া থেকে শুরু করে পরিযায়ীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এই দাবি তুলছে বিরোধীরা। আর এই সব অভিযোগে কেন্দ্র সরকারকে কোনঠাসা করতে ২২ মে বৈঠকে বসতে চলেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “নেতৃত্বের ব্যাটন সনিয়ার হাতে, মমতা এখন কী করবেন।মমতা” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, কিন্তু এবারের নেতৃত্বের ব্যাচন চলে গিয়েছে সনিয়া গান্ধীর হাতে। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই শুরু হতে পারে। তবে ভাল কাজ হলে ভাল।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই নিয়ে তিনি বলেন, “মোদীজি যেভাবে কাজ করছেন, তা বিশ্বাস না রেখে করোনা ফ্রন্ট তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই ধরনের ফ্রন্টের দুর্দশা সবাই জানেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সবাই একসঙ্গে লড়াই করার জন্য হাত তুলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী পরিস্থিতি কী হয়েছিল, তা সবাই জানেন।” সাথেই দিলীপ ঘোষ আরও বলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার দরকার নেই, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার দরকার রয়েছে। তাঁর প্রশ্ন এই লড়াইটা গত একমাসে কেন হয়নি। তাহলে আরও ভাল প্রস্তুতি হত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বিরোধী কী করেন, তার দিকে বিজেপি তাকিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেছেন দুর্যোগের সময় রাজনীতি নয়। প্রধানমন্ত্রীই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন। তিনি ৫ বার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে। এই সময়ে রাজনীতি ভোলা উচিত। এব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর রাজনীতি না করার ডাকের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কটাক্ষ, যিনি সারাজীবন রাজনীতি ছাড়া কিছু করেন না, তিনি যদি বলেন, তাহলে তা কতটা ফলপ্রসু হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। আপনার মতামত জানান -