হাতে একের পর এক ইস্যু তুলে দিচ্ছে তৃণমূলই! একুশের লক্ষ্যে আসরে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বিজেপি কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 21, 2020 করোনা পরিস্থিতি হোক বা আমফান। যে কোনো অবস্থায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলাই এখন প্রধান লক্ষ্য ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করাই তাদের কাছে মূল লক্ষ্য। তাই এমত পরিস্থিতিতে যেনতেন প্রকারেণ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলেই সেই ব্যাপার নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ছে গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের তথ্য ধামাচাপা দেওয়া থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা, এমনকি বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাপে পড়েছে রাজ্য সরকার। এমতাবস্থায় এই সমস্ত ঘটনা তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এরই মাঝে এবার হঠাৎ করেই রাজ্যে আগমন ঘটে আমফান নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের। যেখানে প্রথমেই রাজ্যকে সহযোগিতার বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার সকালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিক থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও, যদি আমফান মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়, তাহলে বিজেপির তরফে রাজ্যকে আরও চাপে ফেলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা বর্তমানে ট্রেনে করে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন। যাদের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হচ্ছে। আর এমত পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব তৈরির কথা বলা হলেও, এই ভয়াবহ দুর্যোগ চলে আসায় অনেককেই ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেখানে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। যার ফলে করোনা ভাইরাস আরও বাড়তে পারে। আর এই সমস্ত কথা তুলে ধরে চারিদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ঘিরে ধরতে পারে বঙ্গ বিজেপি বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “লোকসভা ভোটের পরে এনআরসি-সিএএ নিয়ে তৃণমূল হারানো জমি অনেকটা ফিরে পেয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু চলতি সংকটে রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে মানুষের মধ্যে বার্তা দেওয়া গিয়েছে। মমতা বাংলার শ্রমিকদের ফেরাতে চাইছেন না বলেও বার্তা গিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এনআরসি-সিএএর ফলে তৃণমূলের প্রচারে বিজেপি কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিল। তবে তৃণমূল তার ফলে কিছুটা বাংলার মানুষের মনে বিশ্বাসযোগ্য স্থান লাভ করলেও, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রচারের ফলে তৃণমূল আবার ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছে। কেননা বিজেপির তরফ লাগাতার প্রচার করা হয়েছে যে, রাজ্য সরকার প্রকৃত তথ্য লুকোতে শুরু করেছে। যা সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও বিশ্বাস করে নিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দুর্নীতি নিয়ে বিজেপির প্রচারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নিজেদের ভুলের ফলে বিজেপি বাড়তি সুবিধা পেয়ে গেল এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে তৃণমূলকে তারা বিপাকে ফেলবে বলেই আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। এই সমস্ত ইস্যুকে তুলে ধরে বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে কতটা চাপে রাখতে পারে, তার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -