লকডাউনে বন্ধ স্কুল, বন্ধ টিউশন – বেতন না মেলায় চূড়ান্ত অসুবিধায় রাজ্যের বহু শিক্ষক কলকাতা রাজ্য May 29, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে একমাত্র উপায় লকডাউন। আর সেই লকডাউন হয়ে যাওয়ায় টানা দুইমাস ধরে নানা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ রয়েছে। আর এমত পরিস্থিতিতে স্থায়ী শিক্ষকদের বেতন নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি না হলেও, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা অর্থ সংকটে ভুগতে শুরু করেছেন। স্কুল বন্ধ থাকায় তারা কোনমতেই বেতন পাচ্ছেন না। যার ফলে সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের সংসারে চরম বিপর্যয় নেমে আসতে শুরু করেছে। বস্তুত, এই আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের পরিচালন কমিটি থেকে প্রতিমাসে তাদের বেতন পেয়ে থাকেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন স্কুল বন্ধ পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশন সেভাবে চালু হচ্ছে না। তাই এমতাবস্থায় তারা চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারি সাহায্য পাওয়ার জন্য এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ যাতে তাদের কিছু পারিশ্রমিক দেন, সেই ব্যাপারে তারা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু যেখানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেদিক থেকে এই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কিভাবে বেতন দেওয়া হবে, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ আংশিক সময়ের স্কুল শিক্ষক সংগঠনের আলিপুরদুয়ার জেলার সম্পাদক তন্ময় কর্মকার এদিন মুখ খোলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজের স্থায়িত্ব নেই। স্কুলে ক্লাস নেওয়ার বিনিময়ে সামান্য কিছু পরিশ্রমিক মেলে। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় হাত এখন ফাঁকা। প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ হয়ে আছে। তবে লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকাকালীন কয়েকটি স্কুল আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামান্য টাকা দিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুল তা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে ওই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।” তবে আলিপুরদুয়ার জেলার বেশ কিছু স্কুলে এই সমস্ত আংশিক সময়ের স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়ার কথা বলা হলেও, কি বলছে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ? এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার 1 ব্লকের শিলবারিহাট হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি নিখিল কুমার পোদ্দার বলেন, “আমাদের স্কুলে একজন আংশিক সময়ের শিক্ষক আছেন। ওই শিক্ষক পারিশ্রমিক না চাইলেও, এই পরিস্থিতিতে সামান্য কিছু টাকা না দিলে অমানবিক দেখায়। আমরা শীঘ্রই ওই শিক্ষককে ডেকে সামান্য টাকা হাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য, “আংশিক সময়ের ওই মাস্টারমশাইদের পারিশ্রমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ না দিলে অমানবিক দেখাবে।” সব মিলিয়ে এখন দুর্দিনের সময় আংশিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম অসুবিধায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে সেই বার্তা কতটা কাজে দেয় এবং আংশিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুর্দিন কতটা কাটে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -