এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রেশন দুর্নীতির দায়ে বড়সড় শাস্তির মুখে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তি

রেশন দুর্নীতির দায়ে বড়সড় শাস্তির মুখে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তি


ভয়াবহ দুর্যোগে মানুষকে ত্রাণ দেওয়া নিয়ে যাতে কোনো রাজনীতি না হয় এবং কোনো দুর্নীতি না হয়, তার জন্য বারবার দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় রেশনে দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে নানা তৃণমূল নেতাদের। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা নেতাদের এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর দুর্নীতির জন্য এবার এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে এফআইআর করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সরব হলেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানের কালনা 2 ব্লকের রেশন ডিলার সুশীল ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তিনি তৃণমূলের বড়ধামাস পঞ্চায়েতের মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যানও বটে। এদিন এই সুশীলবাবুকে বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলে দাবি করে সরব হন কালনার তৃণমূল বিধায়ক। যার ফলে এখন তীব্র শোরগোল তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, গত শনিবার মহকুমা খাদ্য নিয়ামক অভিজিত বেজে এক ইন্সপেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে রেশন দোকান পরিদর্শনে গেলেও সুশীল বাবুকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তবে দোকানের কর্মচারীদের কাছে রেজিস্টার চাওয়া হলে মালিক আসার পরে তা দেবেন বলে জানিয়ে দেন তারা। আর এর পরেই আধঘন্টা পরে এসে রেজিস্ট্রার ছুড়ে দেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সরকারি প্রতিনিধিদের হেনস্থা করা হয় বলেও সুশীলবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সুশীলবাবুর বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তিনি বলেন, “নানা রকম গাফিলতির কারণে মহকুমাশাসক, বিডিও, খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা কয়েকজন রেশন ডিলারকে শোকজ করেছিলেন। একজনকে 50000 টাকা জরিমানাও করা হয়। যে কাজের জন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছিল, সে কাজটি করতে পারছেন না বলে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি সুশীলবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে থাকলেও, তিনি তৃণমূলের লোক নন বলে জানিয়ে দেন বিশ্বজিৎবাবু। কিন্তু সরকারি প্রতিনিধিদের তিনি এভাবে হেনস্থা করলেন কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে রেশন ডিলার সুশীল ঘোষ বলেন, “বারবার দোকানে এসে আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছিল। শনিবার আমার কাছে স্টক খাতা চাওয়া হয়। বিরক্ত হয়ে ইন্সপেক্টরকে বলি, খাতাপত্র নিয়ে আপনারা চলে যান। আমি আর ব্যবসা করব না। এরপরে আমার হাত থেকে খাতা পড়ে গেলে বলা হয়, আমি ওদের হেনস্থা করেছি।”

যদিও বা এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কালনা মহকুমার খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ বেজ। তবে রেশন ডিলার সুশীল ঘোষকে তৃণমূল বিধায়ক দলের কেউ না বললেও, এই ব্যাপারে অন্য প্রতিক্রিয়া শোনা গেছে তৃণমূলের কালনা 2 ব্লক সভাপতি প্রণব রায়ের গলায়। ডিলারের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, “সুশীলবাবু বড়ধামাস পঞ্চায়েতের মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান। খবর পেয়েছি, তাকে প্রশাসনের একাংশ পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা করেছে। বিষয়টি যেখানে বলার বলব।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে রেশন দুর্নীতির দায়ে নাম জড়াতেই ডিলারকে নিজেদের দলের বলে অস্বীকার করলেন তৃণমূল বিধায়ক এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ডিলারকে নিজেদের লোক বলে যেভাবে দাবি করলেন আর এক তৃণমূল নেতা, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন রেশন দুর্নীতিকে ঢাকতে গিয়ে তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিভাবে সামলায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!