এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শাসকদলে আবার পরিবারতন্ত্র, শীর্ষনেতাকে ধরে স্ত্রীকে টিকিট দেওয়ালেন দাপুটে নেতা

শাসকদলে আবার পরিবারতন্ত্র, শীর্ষনেতাকে ধরে স্ত্রীকে টিকিট দেওয়ালেন দাপুটে নেতা

তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় মুকুল রায় অভিযোগ করেছিলেন শাসকদলে জাঁকিয়ে বসেছে পরিবারতন্ত্র, যা ক্রমশ দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করছে অন্য নেতাদের। আর তিনি দল ছাড়ার পর সেই পরিবারতন্ত্রের ‘প্রমান’ দিতে যেন উঠে পরে লেগেছে শাসকদল। প্রথমে সবং উপনির্বাচনে টিকিট দেওয়া হল মানস ভূঁইয়ার স্ত্রী গীতারানি ভূঁইয়াকে। তারপর উলুবেড়িয়ায় টিকিট পেলেন প্রয়াত সাংসদ সুলতানের স্ত্রী, নোয়াপাড়াতে দলীয় বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় সুনীল সিং। আর এখানেই শেষ নয়, এই তালিকায় নবতম সংযোজন মালদহের গণিখান চৌধুরীর ভাই আবু নাসের খান চৌধুরীর (লেবু) দ্বিতীয়া স্ত্রী তন্দ্রা খান চৌধুরী।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন সুজাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অশীতিপর লেবুবাবু। কিন্তু নিজের ভাইপো ঈশা খান চৌধুরীর কাছে প্রায় সাতচল্লিশ ভোটে হেরে যান তিনি। তারপর থেকে তাঁকে সেভাবে প্রকাশ্যে দেখাই যায় নি, সকলেই যখন ধরে নিয়েছেন তিনি প্রায় রাজনৈতিক সন্যাস নিয়ে ফেলেছেন, তখনই ব্যক্তিগত জীবনে, নিজের অর্ধেক বয়সী তন্দ্রাদেবীর সঙ্গে প্রথমে প্রণয় ও পরে দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েন তিনি। আর এবার সেই দ্বিতীয় স্ত্রীকেই আরো বেশি ‘সমাজসেবার’ সুযোগ করে দিতে, তাঁকে নিয়ে সটান চলে আসেন কলকাতায়। দরবার করেন বর্তমানে শাসকদলের অঘোষিত দুনম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অভিষেকবাবুও নিরাশ করেননি প্রবীণ এই নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে। অভিষেকবাবুর ‘আশীর্বাদে’ তন্দ্রাদেবী মালদহ জেলা পরিষদের টিকিট পেতে চলেছেন। আর পরিবারতন্ত্রের জয়ধ্বজা আবার ওড়ায় মালদহ ফিরে যাবার আগে স্বামীকে পাশে নিয়ে গদগদ কন্ঠে তন্দ্রাদেবী জানিয়ে গেলেন, গত মঙ্গলবার দিদিই আমাকে সুজাপুরের মোজমপুর, যোদুপুর, জালালপুর, আলিপুর ১ ও ২ –
এই পাঁচটি অঞ্চলের জন্য কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অভিষেক তাতেই সিলমোহড় দিল। জানিয়ে দিল, জেলা পরিষদে আমিই লড়ব। অভিষেক আমাকে নিরাশ করেননি। এলাকায় ফিরে গিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!