এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > রাজনৈতিক যুদ্ধে বিজেপিকে কি এবার পিছনে ফেলতে শুরু করল কংগ্রেস? ক্রমশ বাড়ছে সাসপেন্স!

রাজনৈতিক যুদ্ধে বিজেপিকে কি এবার পিছনে ফেলতে শুরু করল কংগ্রেস? ক্রমশ বাড়ছে সাসপেন্স!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টরাজস্থানের বর্তমান রাজনৈতিক আবহ যত দিন যাচ্ছে ততই আরো জটিল হয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট রাজনৈতিক দূরত্বের কারণে রাজস্থানের কংগ্রেস শিবির পরিত্যাগ করেন বেশ কিছু অনুগামীসহ। এদিকে শচীন পাইলটের দল ছাড়ার পর অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন ওঠে, তিনি কি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন? অন্যদিকে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়, তাঁরা টাকার বিনিময়ে বিধায়ক কেনাবেচা করছেন। যদিও গেরুয়া শিবির এই কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তির মধ্যে রেখে এবার রাজস্থান পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করল। সূত্রের খবর, বিধায়ক কেনাবেচায় জড়িত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতের বয়ান চেয়েছে রাজস্থান পুলিশ। অন্যদিকে সরকার ভাঙার অভিযোগে সামনে এসেছে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার নাম। পরিস্থিতি অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে, রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে ফেলতে গেলে যে পরিমাণ অনুগামী থাকা দরকার শচীন পাইলট এর হাতে তা নেই।

শচীন পাইলট এর পক্ষেও এই মুহূর্তে অস্বস্তিজনক পরিস্থিতি। কারণ কংগ্রেস বিধায়ক গিরিরাজ সিংহ মালিঙ্গা এবার অভিযোগ করেছেন, শচীন পাইলট তাকে 35 কোটি টাকা দেওয়ার প্রলোভন দিয়েছিলেন। কিন্তু গিরিরাজ সিং মালিঙ্গা প্রলোভনে পা না দিয়ে পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নজরে এনেছিলেন বলে দাবি জানিয়েছেন। গত রবিবার অন্য এক কংগ্রেস বিধায়ক রাজেন্দ্র গুধাও জানিয়েছিলেন, 8 মাস আগে বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় জৈন, যিনি এই মুহূর্তে বিধায়ক কেনা বেচার অভিযোগে হাজতে রয়েছেন- তাঁর সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেন।

এবং ওই ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র গুধাকে বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি এবার বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগে রীতিমতো কোণঠাসা। অন্যদিকে শচীন পাইলটকে ইতিমধ্যেই রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু সেই নোটিশ নিয়ে আবার মামলা চলছে হাইকোর্টে। এবার দেখার হাইকোর্টের রায় শচীন শিবিরের পক্ষে যায়, না বিপক্ষে যায়। কারণ এই রায়ের উপরেই নির্ভর করবে শচীন পাইলট এর পরবর্তী অবস্থান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি রাজস্থানে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল হুইপ জারি করে। কিন্তু হুইপ অগ্রাহ্য করে সেই বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে অভিযোগ জানানো হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকার এর পক্ষ থেকে শচীন পাইলট সহ 19 জন বিধায়কের কাছে নোটিশ যায় তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করা হবেনা কেন এই দল বিরোধী কাজের জন্য! কিন্তু শচীন পাইলটরা স্পিকারকে কোন জবাব না দিয়ে সোজাসুজি দ্বারস্থ হয় রাজস্থান হাইকোর্টের।

অন্যদিকে বিধায়কদের সঙ্গে দড়াদড়ি করার বিষয়ে একটি অডিও প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। যেখানে নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের। যদিও তিনি দাবী করেছেন, এই গলা তাঁর নয়। এদিকে রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের অবস্থানও খুব একটা মজবুত নয়। কারণ 200 সিট বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পক্ষে রয়েছেন 102 জন বিধায়ক। অন্যদিকে ম্যাজিক ফিগার সেক্ষেত্রে হচ্ছে 101।

অন্যদিকে বিজেপির হাতে রয়েছে 72 জন বিধায়ক এবং সহযোগী একটি দলের 3 জন বিধায়ক। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছেন শচীন পাইলটদের শিবিরের 19 জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিনজন নির্দল বিধায়ক। বোঝাই যাচ্ছে বিধানসভায় যদি এবার টিকে থাকার পরীক্ষা শুরু হয় তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পড়বে বর্তমান কংগ্রেস সরকার। কারণ রাজস্থান বিধানসভায় যদি শচীন পাইলটসহ বাকি বিধায়কদের সদস্য পদ খারিজ হয় তাহলে ম্যাজিক ফিগার হাতের বাইরে চলে যাবে কংগ্রেস সরকারের। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গী দলগুলিকে নিয়ে তড়িঘড়ি আস্থাভোটের কথাই ভাবছে কংগ্রেস শিবির। অন্যদিকে বিজেপির হাতে কিন্তু এখনো পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগার নেই।

যার ফলে বিজেপি আস্থাভোট দাবি করারও সাহস পাচ্ছেনা বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজস্থান ঘিরে এই মুহূর্তে টানটান রাজনৈতিক উত্তেজনা। সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে কে এগিয়ে আসবে রাজস্থানের হাল ধরতে, তাই নিয়ে এখন চলছে তুমুল কাটাছেঁড়া। তার মাঝেই উঠে এসেছে বিধায়ক কেনাবেচার তত্ত্ব। আর এই কেনা-বেচার সূত্র ধরে বিজেপির শিবিরের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার নাম জুড়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরেও এই মুহূর্তে চরম অস্বস্তি। বর্তমান পরিস্থিতে জাতীয় রাজনীতিতে রাজস্থান ঘিরে এক টানটান নাটকীয়তা তৈরি যে হয়েছে তা এককথায় মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!