এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চেষ্টা করেও কি মিলল না সাফল্য? 15 -20 হাজারের বেশি ভিউয়ার পেল না তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ! জল্পনা তুঙ্গে!

চেষ্টা করেও কি মিলল না সাফল্য? 15 -20 হাজারের বেশি ভিউয়ার পেল না তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ! জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার প্রথম করোনা ভাইরাসের কারণে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল না। সামাজিক দূরত্ব বৃ্দ্ধি থাকার কারণে ভার্চুয়াল সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা বাহুল্য, তৃণমূলের ধর্মতলা সমাবেশে প্রতিবার ব্যাপক সংখ্যক মানুষের আগমন ঘটে। মঞ্চে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, রাস্তায় লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। সবাই সভায় ঢুকতেই পারেননি। তবে বেশ কিছু কারণে অনেকেই তৃণমূলের এই শহীদ সমাবেশের অনেক প্রতিবন্ধকতায় কলকাতায় যেতে পারেন না।

কিন্তু এবার যখন বুথে বুথে ভিডিওর মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, তখন আশা করা হয়েছিল, এবার হয়ত ধর্মতলার থেকেও বেশি মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনবেন কেননা বাড়ির কাছেই ভিডিওর ব্যবস্থা থাকায় আরো বেশি সংখ্যক মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেবেন ইতিমধ্যেই এই সমাবেশ শুরুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোর থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের কৌশল খাটিয়ে যাতে এই ভার্চুয়াল সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখতে পারে তার জন্য ব্যাপক চেষ্টা করেছেন প্রশান্ত কিশোরের টিম থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল সকলেই এই ব্যাপারে জোর প্রচার করেছে।

স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন বক্তব্য রাখতে উঠবেন, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের এই সমাবেশে প্রচুর সংখ্যক মানুষের চোখ থাকবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই ব্যাপারে এবার বড়সড় ধাক্কা খেলো তৃণমূল কংগ্রেস‌। জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য দিতে ওঠার আগে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে দর্শকের সংখ্যা ছিল 2 থেকে 4 হাজার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য দিতে ওঠার সাথে সাথে তা বেড়ে 6 থেকে 8 হাজার হয়ে যায়। পরবর্তীতে তা ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে থাকে। ধীরে ধীরে বাড়ে দর্শকের সংখ্যা। যেখানে প্রায় 15 হাজার মানুষ একসাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এরপর আবার কমতে শুরু করে। 13 হাজারের কাছাকাছি চলে আসে দর্শকের সংখ্যা। যা দেখে কিছুটা হলেও চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে। তবে তৃণমূলের সেই চিন্তাকে বাড়িয়ে শেষমেষ ১৫ হাজারের ওপরে আর দর্শকসংখ্যা ওঠেনি। স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওপর জোর দিয়ে তৃণমূল এই সভা করলেও এবং তাতে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবলেও, তা যে কার্যত ব্যাকফুটে চলে গেল, সেই ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

একাংশের মতে, একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে যেমন তৃণমূলের পক্ষে এইরকম ভার্চুয়াল সভা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না, ঠিক তেমনই তৃণমূল চেষ্টা করেছিল সেখানে ব্যাপক সংখ্যক দর্শক এনে বিজেপিকে মাত দিতে। কেননা কিছুদিন আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ বাংলার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন‌। সেদিক থেকে বিজেপির এই সভায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষ নজর রেখেছিল। তাই তৃণমূল চেষ্টা করেছিল, যাতে বিজেপি দর্শকসংখ্যাকে মাত দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক যাতে তাদের সমাবেশ দেখে। কিন্তু ১৫ হাজারের উপরে তৃণমূলের এই সমাবেশে দর্শকের সংখ্যা পেরোতে দেখা যায়নি। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠল না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু কেন ভার্চুয়াল সভায় এই অবস্থা হল তৃণমূলের?

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের আইটি সেল থেকে শুরু করে প্রশান্ত কিশোরের টিম যে যতই প্রচার করুক না কেন, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অতটা শক্তিশালী নয়। তাই অনেকে চেষ্টা করেও এই সভায় চোখ রাখতে পারেননি। টিভির পর্দায় অনেকে এই সভা দেখেছেন। ফলে সেভাবে দর্শক সংখ্যা বাড়েনি। তবে এর পক্ষে সায় না-দিয়ে আরেক অংশ বলছেন, দিনকে দিন তৃণমূলের জনসমর্থন কমছে। তাই এবারের একুশে জুলাইয়ে অনেকেই তাতে অংশগ্রহণ করেনি। আর এতেই প্রমানিত, 2021 এ রাজ্যে পরিবর্তন হচ্ছে। এদিকে তৃণমূলের ভার্চুয়াল সভায় সেভাবে জনসমর্থন না দেখে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি।

এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের জনসমর্থন ক্রমশ কমছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখেই যতই হম্বিতম্বি করুন, আদতে এই সভায় দর্শকসংখ্যাতেই প্রমাণিত যে, তৃণমূলের প্রতি মানুষের আর ভরসা নেই। আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি একুশে জুলাইয়ের মত সমাবেশে তৃণমূলের এত প্রচার সত্ত্বেও দর্শকসংখ্যা এত নিচের দিকে নেমে থাকে, তাহলে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে জনসমর্থন পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় থাকতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

কেননা তৃণমূলের সবথেকে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি একুশে জুলাই। অনেক কর্মীর কাছে তা আবেগের কারণ। প্রচুর কর্মী সমর্থকরা ধর্মতলার সমাবেশে জড়ো হন। কিন্তু এবার যখন করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়িতে বসেই সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তখন কেন এত সুবিধা থাকতেও এত অল্প সংখ্যক দর্শক তৃণমূলের এই সমাবেশ দেখলেন, তা নিয়ে নিঃসন্দেহে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। এখন গোটা বিষয়টা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কতটা ভাবিত এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা কোনো কৌশল প্রয়োগ করে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!