প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অবশেষে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন মুকুল রায়। রাজনৈতিক মহলে তাকে নিয়ে চলা ব্যাপক জল্পনায় অবশেষে জয় হল তার। চোখের সমস্যার কারণেই হোক বা দলীয় বৈঠকে মতানৈক্য, কোনো একটি বিষয়ে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় এসেছেন মুকুলবাবু। স্বাভাবিকভাবেই তখন থেকেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।

বিভিন্ন মহলের তরফে খবর পাওয়া যায় যে, দিল্লির বৈঠকে বিজেপি বাংলায় কত আসন পাবে, তা নিয়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। এমত অবস্থায় একের পর এক ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। যেখানে মুকুল রায়ের দিল্লির বাসভবনের সামনে থেকে উধাও হয়ে যায় বিজেপির পোস্টার।

যার পরবর্তীতে তাহলে কি তিনি এবার বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নতুন কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা সৃষ্টি হয়। তবে প্রথম থেকেই অবশ্য সেই সমস্ত জল্পনাকে নারাজ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। জানিয়েছেন, দিল্লির বৈঠকে তিনি প্রথমদিন ছিলেন। কিন্তু চোখের রেটিনার সমস্যার কারণে তিনি কলকাতায় ফিরে এসেছেন।

তবে তার মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা দিল্লির বৈঠক থেকে এভাবে ফিরে আসবেন তা সত্যিই অনেকের কাছেই কল্পনার অতীত ছিল যদি মুকুল রায় জানতেন যে তার চোখের সমস্যা তাহলে তিনি কেন আগেভাগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানালেন না! যার ফলে অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঠিকমতো বনিবনা না হওয়ার কারণে এবং দলে ঠিক মত জায়গা না পাওয়াতেই এবার বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছেন মুকুল রায়।

তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য অনুধাবন করেছে যে মুকুল রায় কে ছাড়া বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসা কার্যত অসম্ভব তাই এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় চোখের সমস্যার কারণ দেখিয়ে কলকাতায় ফিরে আসলেও এবার দিল্লির তরফে আবার তার কাছে ফোন এলো যেখানে জানানো হয়েছে তিনি যেন আবার দিল্লি তে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই মুকুলবাবুর মানভঞ্জন করতে কি বিজেপির তরফে উদ্যোগ নেওয়া হল! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে এখন দেখার বিষয়, মুকুল রায় কি করেন!

কেননা তিনি বলেছেন যে, চোখের সমস্যার কারণে তিনি কলকাতায় ফিরে এসেছেন। সেদিক থেকে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে এই ফোন পাওয়ার পর যদি তিনি সেই বৈঠকে না যান, তাহলে তার গুরুত্ব যেমন বিজেপিকে অনেকটাই কমবে, ঠিক তেমনই তিনি যদি সেই বৈঠকে যান, তাহলে তার চোখের সমস্যা নিয়ে যে বক্তব্য তিনি পেশ করেছিলেন, তা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে।

তাই দুদিক থেকেই কিছুটা সমস্যায় পড়া মুকুল রায় এখন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেন, তা অবশ্যই দেখার বিষয় রাজনৈতিক মহলের। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মুকুল রায়ের গুরুত্ব যে ভালই অনুভব করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তা তাকে এদিন ফোন করাতেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ফোন পাওয়ার পর মুকুল রায় কি করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।