খাস কলকাতার বুকে করোনা আক্রান্ত পরিবারের উপর তৃণমূল নেতার “জুলুম”! তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল কলকাতা তৃণমূল রাজ্য August 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাস অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে চলেছে সকলকে। এই রোগটি দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে সকলকে গৃহবন্দী হওয়ার জন্য লকডাউন করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব পালন করা হলেও মানসিক দূরত্ব যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য বারবার বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে, কোনো এলাকায় যদি করোনা ভাইরাসে কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত হয়ে পড়েন, তাহলে তাকে কার্যত ঘরকুনো করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই রকম সামাজিক অবলুপ্তির ঘটনাটি ঘটতে থাকে, তাহলে মানুষ আরও মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বেন, তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের আরও এগিয়ে এসে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা উচিত বলে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে। কিন্তু এবার খাস কলকাতা শহরে করোনা হুলিয়া জারি করার অভিযোগ উঠল আট নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃনমূলের সভাপতি শান মিত্রের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, কলকাতার বাগবাজার রাজাবল্লভ রায় পাড়ায় করোনা আক্রান্ত এক পরিবারকে যাতে কোনো জিনিস বিক্রি করা না হয়, তার জন্য হুলিয়া জারি করেছেন এই তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে শাসকদলের যুবনেতার মুখ থেকে এই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে, সেখানে কিভাবে সাধারণ মানুষ করোনা থেকে নিজেদেরকে সচেতন করবেন, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বড় মাপের প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, তৃণমূল দলের সর্বাধিনায়িকা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলছেন, মানসিক দূরত্ব যেন তৈরি না হয়। কিন্তু সেই সময় হঠাৎ করে যুবনেতা কেন করোনা আক্রান্ত পরিবারকে সমস্ত রকম জিনিস বিক্রি যেন না করা হয়, সেই ব্যাপারে হুলিয়া জারি করলেন! তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে মানুষ যে আক্রান্তদের থেকে আরও দূরে সরে যাবেন এবং করোনাকে ভয় পাওয়া অপেক্ষা মানুষের মধ্যে মানসিক দূরত্ব যে আরও বেশি করে দীর্ঘায়িত হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন তিনি এই কথা বললেন? এদিন এই প্রসঙ্গে যুব তৃণমূল নেতা শান মিত্র বলেন, “করোনা আক্রান্ত যারা তারা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন, পাড়ার লোকেরা এই অভিযোগ জানাচ্ছেন। তাই আমি বলেছি, ওই বাড়ির কেউ জিনিস কিনতে এলে যেন জানানো হয়। তবে হুলিয়া জারি করা হয়নি।” কিন্তু তৃণমূল যুব নেতার এই অভিযোগ যতই অস্বীকার করুন না কেন, তিনি যেভাবে কলকাতার বুকে করোনা আক্রান্ত পরিবারকে জিনিস দেওয়া যাতে না হয়, সেই ব্যাপারে হুলিয়া জারি করেছেন, তাতে রীতিমত চাপে পড়েছে শাসকদল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মানসিক দূরত্ব স্তব্ধ করার কথা বলছেন, তখন তৃণমূল যুবৎনেতার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্ব কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -