বঙ্গ বিজেপিতে শুদ্ধিকরণ! দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এবার একযোগে ৫ প্রভাবশালী নেতা! শোরগোল রাজ্যে কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন পর্যন্ত শুদ্ধিকরণ শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে। কিন্তু শুদ্ধিকরণের জোয়ার এবার ধীরে ধীরে লাগছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরেও। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গেরুয়া শিবিরে শুদ্ধিকরণের ওপর জোর দিতে করা হচ্ছে সদস্য বহিষ্কার।তবে শুদ্ধিকরণের রাস্তা ধরে গেরুয়া শিবিরকে যে আরও নির্দিষ্ট নিয়মে বেঁধে ফেলা হচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত গেরুয়াপন্থীরা। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম 21 নম্বর মন্ডল থেকে দল বিরোধী কাজ করার জন্য 5 প্রভাবশালী বিজেপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এই নিয়ে এবার বাংলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র শোরগোল। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুমারগ্রাম 21 নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি গোপাল চন্দ্র দাস, মন্ডল সম্পাদক বলাই বিশ্বাস এবং 10/145 নম্বরের বুথ সভাপতি বিধুভূষণ বিশ্বাসকে দলীয় নীতি লঙ্ঘন করার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এর সাথেই মন্ডল সদস্য হিমাংশু সরকার এবং বিমল সরকারকেও একই ভাবে বহিষ্কারের পথ দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে সোমবার কুমারগ্রাম ব্লক সদর কামাখ্যাগুড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। এবং সেখানে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান, উক্ত বিজেপি কার্যকর্তাদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি জেলা কমিটিকে জানানোর পর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কুমারগ্রাম 21 নম্বর মন্ডল সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, এই পাঁচজন কর্মকর্তা ক্রমাগত অসাংগঠনিক এবং উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে দলের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টায় ছিলেন। আর তাই তাঁদের শাস্তিস্বরূপ অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হলো। ইতিমধ্যে অপসারিত জায়গাগুলিতে নতুন লোক এসে গেছে। 21 নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতির জায়গায় এসেছেন উৎপলকান্তি কুন্ডু। মন্ডল সম্পাদকের জায়গায় এসেছেন লব বিশ্বাস। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণের মন পেতে গেরুয়া শিবির শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের শুদ্ধিকরণ নিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল শিবিরেও সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধীদলের একটাই লক্ষ্য- রাজ্যের মসনদ দখল করা। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে বিভিন্ন সময়ে দলীয় শুদ্ধিকরণ অন্যতম রাস্তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপনার মতামত জানান -