জঙ্গিগোষ্ঠীর নিশানায় তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট, তীব্র আশঙ্কা শাসক শিবিরে উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 25, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তরবঙ্গের জঙ্গিগোষ্ঠী কেএলওর পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে, কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে। কেএলওর পক্ষ থেকে তাঁদেরকে তৃণমূলের দলদাস বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। তাঁদেরকে চরম পরিণতির হুমকি দেয়া হয়েছে কেএলওর পক্ষ থেকে। জঙ্গিগোষ্ঠীর এই হুমকি পাবার পরই উদ্বেগ বাড়ছে শাসক শিবিরে। এরপরই বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন উভয়েই কোচবিহারের বাসিন্দা, তবে তাদের চলাফেরা গোটা উত্তরবঙ্গে। আবার উত্তরবঙ্গের একাধিক স্থানে সক্রিয় রয়েছে কেএলও। তাই এবার তাঁদের নিরাপত্তায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুলিশ প্রশাসন। সম্প্রতি, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর থেকেই পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আবার সরব হয়েছে কেএলও। কয়েকদিন আগে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কামতাপুর রাজ্যের দাবি তুলেছে কেএলও। যার বিরোধিতা করেছিলেন পার্থ প্রতিম রায়। এরপর তাঁদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে কেএলওর পক্ষ থেকে। কেএলওর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনের নাম করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে। কোচ জনজাতির প্রতি চরম প্রতারণা করা হয়েছে। সেজন্য এই দুই নেতাকে চরম পরিণতির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। কেএলওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শাসক দলের এই দুই নেতা কলকাতায় গিয়ে যা করেছেন, তার চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। কেএলওর এই চিঠি পাবার পরই গোয়েন্দারা নড়েচড়ে বসেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে কামতাপুর আন্দোলনের সময় যে পুলিশ কর্তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদেরকে ডেকে এনে এ বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন যে, বেশকিছু নেতা-নেত্রীদের আগে থেকেই নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। এদের নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা? সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবার ৯০ এর দশকে যারা কামতাপুর আন্দোলন সামলেছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, উত্তরবঙ্গে আবার মাথাচাড়া দিতে পারে জঙ্গিগোষ্ঠী কেএলও। ইতিপূর্বে একাধিকবার এই জঙ্গিগোষ্ঠীর নানা কার্যকলাপ সন্ত্রস্ত করেছে মানুষকে। চলন্ত ট্রেনে বোমা বিস্ফোরণ, ভরা বাজার এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের মতো একাধিক সন্ত্রাসবাদি কাজকর্ম জড়িত থাকতে দেখা কেএলওকে। আপনার মতামত জানান -