এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতে বিজেপি এবার একাধিক ইস্যু নিয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাতে চলেছে, জল্পনা তুঙ্গে

তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতে বিজেপি এবার একাধিক ইস্যু নিয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাতে চলেছে, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জেতার পর থেকেই কার্যত মমতা ব্যানার্জি 24 শের লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের পতন কিভাবে হয়, সেই হিসেব নিকেশ করে চলেছেন। অন্যদিকে বিজেপিও কম যায়না। তাঁরাও কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় দিক থেকেই তৃণমূলকে চাপে ফেলতে সদা প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে বিজেপি বেশ কয়েকটি ইস্যু তুলে এনেছে রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয় স্তরেই। রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে যেমন বিধানসভায় মুকুল রায়কে পিএসির চেয়ারম্যান করার অনৈতিক পন্থা নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের জঙ্গী কার্যকলাপকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে তুলে আনা হচ্ছে, তেমনই রাজ্য সরকারের যে কোন ত্রুটি বিচ্যুতিতে সরব হওয়াই এখন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির।

পাশপাশি তৃণমূল যে শুধুমাত্র ব্যক্তিতান্ত্রিক দল সে কথা রাজ্যের সর্বস্তরে প্রচার করা, রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্বেও মহিলারা নিরাপদ নেই সে কথা প্রচার করা রাজ্য বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য। অন্যদিকে ভোট পরবর্তী রাজ্যের হিংসা সংক্রান্ত মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট এক্ষেত্রে বিজেপিকে অক্সিজেন যুগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফ থেকে সারদা, নারদা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সক্রিয় করে তুলে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার যেমন চেষ্টা চলছে, তেমনি রাজ্য সরকারের সহায়তাতেই অনুপ্রবেশ ঘটছে এই কথাটিকে ব্যাপকভাবে প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

একইসাথে এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের অসমর্থন কার্যত সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে- এ কথা জনসমক্ষে তুলে ধরে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। পাশপাশি কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগ তোলা অন্যতম ইস্যু বিজেপির বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে একজন সংখ্যালঘু তোষণকারী বলে প্রচার তো আছেই। অন্যদিকে রাজ্যপালের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ বজায় রাখাও চলছে। এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি তুলেছিলেন যে বিজেপি সাংসদ সেই জন বার্লাকে মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়ে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বাংলা ভাগের দাবি সমর্থন করে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বজায় রাখল কেন্দ্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবে একাধিক ইস্যু নিয়ে বিজেপি তৃণমূলকে চাপে রাখার কৌশল তৈরি করছে। তবে তৃণমূলও পিছিয়ে নেই। তারাও একাধিক ইস্যু নিয়ে এসেছে রাজ্য বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বিজেপিকে কোণঠাসা করতে। তবে সর্বোপরি তৃণমূল নেত্রীর কাছে এখন এই বিষয়টি পরিষ্কার যে 3 থেকে 74 টি আসনে বিজেপির পৌঁছে যাওয়া কিন্তু নজরকাড়া সাফল্য। আগামী দিনে বাংলার বুকে বিজেপি তার সাফল্যের ধারাকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে। আর সে কারণেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট এবং উপনির্বাচন বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এবং সেই চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য তাঁরা মরিয়া।

এক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরকে কেন্দ্র থেকে সরাতে পারলেই একমাত্র সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে বলেই মনে করছে তৃণমূল। তাই সেক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোটের শক্তি একমাত্র অনিবার্য কেন্দ্রীয় সরকারের পতনের জন্য। তাই এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো যুদ্ধের ঘোষণা করে দিয়েছেন। পাশপাশি বিরোধী জোট তৈরীতে তিনি আদাজল খেয়ে উঠে পড়েছেন। আপাতত বিজেপি ভার্সেস তৃণমূল অথবা মমতা বনাম মোদীর লড়াই কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!