এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত শুভেন্দু অধিকারীর, সৌজন্যে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা

আবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত শুভেন্দু অধিকারীর, সৌজন্যে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কার্যত দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতা হবার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ঘনঘন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তিনি তিনবার দিল্লি সফর করে ফেললেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপি শিবিরের কাউকেই এভাবে দিল্লি সফর করতে দেখা যায়নি, এমনকি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও এতটা দিল্লি নির্ভর হতে দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী যে অন্যরকম ট্রেন্ড শুরু করছেন, তা স্পষ্ট। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী আবার দিল্লি গিয়ে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তিনি আবারও অমিত শাহের কাছে নালিশ জানিয়ে এসেছেন।

কার্যত শুভেন্দু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বেড়িয়ে নিজেই এ কথা জানান। অন্যদিকে জানা গেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দিল্লি উড়ে যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত তিনি দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠকে বসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাবার তোড়জোড় শুরু করেছেন, ঠিক সেসময় শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ভোট পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরা এবং সমন্বয়ের কাজ করে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতিককালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপক চাপে ফেলেছে। কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ককে যেমন ক্রিমিনাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ঠিক সেরকমই প্রশাসনের দিকেও আঙ্গুল তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তার শাসনকালে কোনরকম ভোট-পরবর্তী হিংসা হয়নি। যা কিছু ঘটেছে তা নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকাকালীন। তবে সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রশাসনিক কর্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই শুভেন্দু অধিকারী আজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। আপাতত রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় কিনা, সেদিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!