খুনের দায়ে ‘ফেরার’ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে বহিস্কার করতে লাগল ৭ মাস! তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচন হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন – এমন বার্তা দানের পাশাপাশি দলকে বারবার কালিমামুক্ত, স্বচ্ছ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল দলের সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বারবার করে তিনি জোর দিতে বলেছেন দলের শুদ্ধিকরণের উপরে। দলের অন্যায়কারী তথা দলীয় নিয়ম-নীতি ভঙ্গকারীদের প্রতি কড়া শাস্তি তথা দলথেকে বহিষ্কারের নিদানও দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ দলের অনেকের কাছেই এখনো যে শুধু হিতোপদেশ হয়েই থেকে গেছে, তার প্রমান দিল মুর্শিদাবাদ জেলার একটি ঘটনা। সংবাদসূতে জানা গেছে, মুর্শিদাবাদে তহিরুদ্দিন মণ্ডল নাম খুনের মামলায় ফেরার হয়ে যাওয়া জনৈক তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করতে সময় লেগে গেল এক মাস, দু মাস নয় পুরো সাত মাস। গতকাল বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একটি বৈঠকে মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানিয়েছেন, ” দল বিরোধী কাজের জন্য তহিরুদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ সূত্রে জানা গেছে, এদিন তৃণমূল দলের কার্যালয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চার জন কো-অর্ডিনেটর একসঙ্গে বসে জঙ্গিপুরের ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডলকে বহিষ্কার দল থেকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে যেদিন বৈঠকে উপস্থিত মুর্শিদাবাদ তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বা মুর্শিদাবাদ তৃণমূল দলের জেলা চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা এবিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তবে খুনের মামলায় অভিযুক্ত ও ফেরার হয়ে যাওয়া একজন নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করতে এতটা দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ায় তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলার কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস মন্তব্য করেছেন, ” তৃণমূলের এখন ছুঁচো গিলেও ওগরাতে না পারার দশা।’’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৯ সে জানুয়ারির দিনে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনরত একটি সংগঠনের উপরে গুলি চালনার অভিযোগ রয়েছে জঙ্গিপুরের ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডল ও তার সাকরেদদের উপরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সে জানুয়ারি সকালে স্থানীয় পঞ্চয়ের দুর্নিমূলক কার্জকলাপ ও সেই সঙ্গে এনআরসির বিরোধিতা করে সাহেবনগরের পথ আটকে দাঁড়ায় নাগরিক মঞ্চ নামের একটি স্থানীয় সংগঠনের সদস্যরা। পথ অবরোধ তুলতে এসে আবদ্ধকারীদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি শুরু হয় তহিরুদ্দিন মণ্ডল ও তার সঙ্গীসাথিদের। আর অভিযোগ আছে, এসময়ের হঠাৎ তহিরুদ্দিন মন্ডলের গাড়ির ভেতর থেকে গুলি চলতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্থানীয় মসজিদ কর্মী আনারউল বিশ্বাস ও গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হন সালাউদ্দিন শেখ নাম জনৈক অবরোধকারী। তারপেরই অকস্মাৎ সাঙ্গপাঙ্গ সহ ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেন তহিরুদ্দিন মণ্ডল। পুলিশসূত্রে তহিরুদ্দিন মণ্ডলকে ফেরার বলে ঘোষণা করা হলেও, তাকে বেশ কয়েকবার এলাকায় দেখতে পাবার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এমন এক নেতাকে বহিস্কার করতে সময় লাগলো সাত মাস। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লক ও শহর সভাপতি মনোনয়ন তথা নির্বাচনের কাজটিও সেরে ফেলা হয়েছে। তবে এই মনোয়ন চূড়ান্ত করতে তা তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে পাঠানো হয়েছে, এমনটাই তৃণমূল সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানিয়েছেন, ‘‘দলের সক্রিয় নেতাদের দায়িত্বে আনা হবে।’’ আপনার মতামত জানান -