এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শেষ হইয়া ও হইল না শেষ, শবরীমালা মন্দির এখনও রইলো ঝুলে

শেষ হইয়া ও হইল না শেষ, শবরীমালা মন্দির এখনও রইলো ঝুলে

আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যাপারে রায়দান করবে। কিন্তু খুব বেশি আশা করলে যে ফল মেলে না, তা প্রমাণ হয়ে গেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর দেশের শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশ করতে দিতে হবে।

কিন্তু আদালতের এই রায়ের প্রবল বিরোধিতা করতে দেখা যায় পুরোহিত এবং স্থানীয় অনেক ধর্মের মানুষকে। তাদের তরফে দেশের শীর্ষ আদালতে এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়। আর সেইমত বৃহস্পতিবার এই রায়দান করার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের। কিন্তু এদিন শেষ হয়েও হইল না শেষ।

সূত্রের খবর, এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলাটি পাঠিয়ে দিল শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে। কিন্তু কি কারনে রায়দান হল না! জানা গেছে, 5 জনের মধ্যে বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ফালি আরমান ভিন্নমত পোষণ করাতেই শবরীমালা মন্দিরকে নিয়ে এই রায়দান আটকে গেল। জানা গেছে, আগামী রবিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন রঞ্জন গগৈ। তার আগে তিনি তার হাতে থাকা সমস্ত মামলার রায় দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

ইতিমধ্যেই অযোধ্যা মামলার রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আর এবার শবরীমালা মন্দিরের রায় আজ হওয়ার কথা থাকলেও তা আটকে যাওয়ায় প্রধান বিচারপতি অবসর নেওয়ার আগে তা সম্পূর্ণ করতে পারলেন না বলেই মনে করছে একাংশ। এদিন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এই মামলার রায় তুলে ধরতে গিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “শুধু হিন্দু মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারে সীমাবদ্ধ এমনটা নয়, মসজিদের ক্ষেত্রেও একই কঠোর নিয়ম আছে। এই ধরনের ধর্মীয় বিষয় শীর্ষ আদালতের বিচারের আওতায় আসে কিনা, তাও বুঝে নেওয়া দরকার।”

অর্থাৎ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদায় নেওয়ার আগ মুহূর্তে বিতর্কিত কোনো বিষয়ে এমন কোনো রায় দিয়ে যেতে চান না রঞ্জন গগৈ। আর তাইতো শবরীমালা মন্দিরের ব্যাপারে সাবধানী ভূমিকা পালন করলেন তিনি। তবে এই গোটা ঘটনা নিয়ে যতই বিতর্ক থাক না কেন, যে মানুষগুলো আজকের এই রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, তারা অনেকটাই হতাশ হয়ে গেলেন বলে মনে করছে একাংশ। ফলে এবার 7 বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই শবরীমালা মন্দিরের ব্যাপারটি পাঠিয়ে দেওয়া শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ ঠিক রায়দান করেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!