হুহু করে সংক্ৰমণ বাড়লেও করোনা টেস্টিংয়ে অনেক পিছিয়ে মমতার বাংলা! কি বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট? অন্যান্য রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য August 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেকোনো রোগকে প্রতিরোধ করতে গেলে সবার প্রথমে প্রয়োজন রোগ নির্ণয় করা। আর তাই রোগ নির্ণয় করতে গেলে যথাযথ রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থাও প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সুষ্ঠ পরিকাঠামো থাকাটা খুবই জরুরি। করোনা পরিস্থিতিও কিন্তু এর আলাদা কিছু নয়। এক্ষেত্রেও দেশে সবার প্রথমে থাকা দরকার সুপরিকাঠামো। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রিপোর্টের ভিত্তিতে দেখা গেছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যে সেদিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। এই মাসে এখনও পর্যন্ত দেশে ১২ লক্ষ করোনা পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনা পরীক্ষার হারও। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রতিদিন ৯ লক্ষেরও বেশি করোনা পরীক্ষা চালানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র অধিকর্তারা। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৩.৩ কোটিরও বেশি মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৯ লক্ষ ১০ হাজার মানুষের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই স্থানে প্রথমেই আছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সেখানে ৪১.৮ লক্ষ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেরাজ্যে ৩৯.৯ লক্ষ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে ৩০.৭ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হয়েছে। কর্নাটকে হয়েছে ২২.৬ করোনা পরীক্ষা। বিহারে ২১.২ লক্ষ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজস্থানে করোনা পরীক্ষার এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২০.৩ লক্ষ। বন্যা বিপর্যস্ত অসমে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮.৯ লক্ষ। আর গুজরাতে ১৫.৫ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা মাত্র ১৪.৫ লক্ষ। সম্প্রতি আমাদের রাজ্যে মোট ল্যাবের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯টি। একদিনে মোট ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আনুমানিক মোট ১৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৬১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার অনুপাতে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১২৯। আর ৮.৮৯ শতাংশ মানুষের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে শীঘ্র এই সমস্যার প্রতিকার না করতে পারলে কিছুতেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আপনার মতামত জানান -