ভারতেই অন্তত ১০ টি রাজ্যে ‘সংখ্যালঘু’ হিন্দু সম্প্রদায়? সুপ্রিম কোর্টে শুরু ঐতিহাসিক মামলা জাতীয় বিশেষ খবর August 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতবর্ষ প্রধানত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবেই পরিচিত বহির্বিশ্বে। সর্ব ধর্মের লোক এই দেশে সমান অধিকার পেয়ে বাস করেছে ও করছেও এতদিন যাবৎ। তবে ভারত বর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হলেও মূলত হিন্দুরাষ্ট্র বলেই পরিচিত। কিন্তু এবার এই হিন্দু রাষ্ট্রেই হিন্দুদের সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে বলে গুরুতর অভিযোগ শোনা গেল। সম্প্রতি এক বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন, ভারতবর্ষের অন্তত দশটি রাজ্যে হিন্দুরা হয়ে পড়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। মূলত এখন সংখ্যালঘু বলতে মুসলিম জাতিকেই বোঝায় ভারতবর্ষে। সেই অনুযায়ী সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার কারণে তাঁদের বেশ কিছু সুবিধাও প্রদান করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সে জায়গায় হিন্দু জাতি কিভাবে সংখ্যালঘুতে পরিণত হলো তা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা চলছে। তবে বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। দেশের উচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে এ রকমই একটি মামলা করেছেন এক বিজেপি নেতা। তাঁর মতে, হিন্দু প্রধান দেশে এমন দশটি রাজ্য আছে, যেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় অনেক কম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এবং তারা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে না সেই রাজ্যগুলিতে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিজেপি নেতার মতে, যে দশটি রাজ্যের উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে তাঁরা কোন বিশেষ সুবিধা পাননা। সেদিকে নজর দিয়ে ওই 10 টি রাজ্যের হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করার জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উক্ত বিজেপি নেতা ও আরও এক আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। অন্যদিকে সুপ্রিমকোর্টও এই প্রসঙ্গে জবাবদিহি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, বিচারপতি এসকে কৌল কেন্দ্রীয় সরকারের আইনমন্ত্রী, সংখ্যালঘু মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই মামলার বিষয়ে জ্ঞাত করিয়ে একটি করে নোটিশ জারি করেছেন। তবে বিজেপি নেতার এহেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথারীতি সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দু রাজ্যে হিন্দুরা কিভাবে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে, তা নিয়েও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। তবে কোন দশটি রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে তার নাম জানা যায়নি। তবে এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আগামী বেশ কয়েকদিন যে চর্চা চলবে সে বিষয়ে নিশ্চিত সবাই। আপনার মতামত জানান -