এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > খুব শীঘ্রই মিলতে চলেছে করোনা থেকে মুক্তি, সামনে এলো নয়া তথ্য, আশার আলো সর্বত্র !

খুব শীঘ্রই মিলতে চলেছে করোনা থেকে মুক্তি, সামনে এলো নয়া তথ্য, আশার আলো সর্বত্র !


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। সেখানে আদৌ কবে করোনার সঠিক ভ্যাকসিন আসবে সেই আশায় নজর ফেলে বসে রয়েছে দেশবাসী। তবে যদিও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে খুব শীঘ্রই ভ্যাকসিন আশার কথা সামনে এসেছিল, তবুও ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মনে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে।

তবে এরই মধ্যে জানা গেছে, বিশেষ কিছু জিনের গঠনের ওপরই এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। বস্তুত, করোনাভাইরাসের পাঁচ জিনই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জিনের গঠন বিন্যাস বের করে এমনটাই দাবি করেছেন বলে জানান হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের স্ট্রেন প্রায় পাঁচ হাজার জিনোম সিকুয়েন্স করে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি স্ট্রেন একে অপরের থেকে আলাদা। আর সেখানে করোনা ভাইরাস এত দ্রুত জিনের গঠন বিন্যাস বদলে ফেলতে পারে যে প্রতিটি ভাইরাল স্ট্রেন মানুষের শরীরে ঢুকে প্রতিলিপি তৈরি করার উপায় খুঁজে নিতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। আর তাঁদের মতে এই ঘন ঘন বদলের জন্যই তাদের রিসেপটর বাইন্ডিং ডোমেন বা যে অংশকে কাজে লাগিয়ে তারা মানুষের দেহকোষে ঢুকতে পারে, তারও পরিবর্তন হচ্ছে।

এই কারণেই মানুষের নানা অঙ্গের কোষে প্রবেশ করতে পারছে করোনা ভাইরাস। কিন্তু সেখান করোনাভাইরাস জিনে কীভাবে বদল ঘটাচ্ছে সেটা বলতে গিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের ফলে জিনের গঠনে সিঙ্গল মিউটেশন হচ্ছে। সেখানে জিন বা ডিএনএ-এর যে সম্পূর্ণ বিন্যাস সেখানে একটা নির্দিষ্ট অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোডে করোনা বদল ঘটাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

আর করোনা ভাইরাস এমনভাবে সেই অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড বদলে দিচ্ছে যাতে তার বিভাজন আরও দ্রুতগতিতে হয়। আর বিভাজনের ফলে তৈরি নতুন স্ট্রেন আরও বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে। আর সেটা অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বস্তুত, বিজ্ঞানের ভাষায় মিউটেশনের ফলে ভ্যাকসিন যেখানে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে বরং উল্টো ফল হচ্ছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

জিনের গঠন বদল বা বিজ্ঞানের ভাষায় একে জেনেটিক মিউটেশন বলে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিউটেশন মানে হল সব বদলে ফেলে নতুন করে সাজিয়ে তোলা। এই বদলে ফেলার প্রক্রিয়া নানা রকম হয়। আর এর উপর ভিত্তি করেই জেনেটিক মিউটেশনও নানা প্রকারের হয় বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। ডিএনএ-র একটা বেস পেয়ার বদলে যাওয়াকে মিসেন্স মিউটেশন বলে। যে প্রক্রিয়াতেই আবার ননসেন্স মিউটেশন দেখা যায়।

তবে সেখানে কোথাও আবার নতুন ডিএনএ যোগ হয়ে ইনসারশন হয়। এটি এমন একটা প্রক্রিয়া যেখানে জিনের যে সাজসজ্জা বা বিন্যাস তাকেই বদলে দেওয়া হয়। বস্তুত, সব জিনেরই একটা নির্দিষ্ট বিন্যাস থাকে। গবেষকদের মতে, করোনা তার জিনের সামান্য অংশেই বদল ঘটাচ্ছে, কিন্তু তার প্রভাব মারাত্মক হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, এই মিউটেশনের কারণে করোনা মানুষের শরীরে নতুন রিসেপটর প্রোটিনও খুঁজে নিতে পারে।

জিনের একটা রিডিং ফ্রেম থাকে, তাতে তিনটে বেস থাকে। প্রতি বেসে একটি করে অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড থাকে। এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড গুলোই করোনা ভাইরাস বদলে দিচ্ছে। সেখানে স্পাইক প্রোটিনের ৬১৪ পজিশনে এই বদলটা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে S-D614 ও S-G614 প্রোটিনের মধ্যেও এই বদলটা দ্রুত হচ্ছে বলেই মন্তব্য করেছেন গবেষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের মতে, এই দুই প্রোটিনই মানুষের দেহকোষের রিসেপটর প্রোটিন অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ এর মাধ্যমেই কোষে ঢুকে প্রতিলিপি তৈরি করে। এই বদলের ফলে তারা আরও দ্রুত রিসেপটর প্রোটিনের সঙ্গে জোট বেঁধে কোষে ঢুকতে পারছে। এতে কোড বদলে গেলে ভাইরাসটি আবার নতুন করে জিনের গঠন সাজিয়ে নিতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

সেখানে তার চেহারাও যে বদলে যাবে সেটা বলাই বাহুল্য। আর এই বদল হিউম্যান ট্রান্সমিশন বা এক মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেইসঙ্গে জিনের বিন্যাস এভাবে বদলে ফেলার কারণেই করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে নিজের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

ফলে করোনার রিইনফেকশনও দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।তবে সুখবর হচ্ছে, আড়াই হাজারের বেশি কোভিড রোগীর উপর পরীক্ষা করে সংক্রামক এই পাঁচ জিনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেই জানান হয়েছে। সেখানে গবেষকরা বলছেন, ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি দুশোর বেশি রোগীর শরীর থেকে নেওয়া নমুনার মধ্যে ওই পাঁচ জিনের সিকুয়েন্স বা বিন্যাস পাওয়া গেছে।

এই জিনগুলো হল-IFNAR2, TYK2, OAS1, DPP9 এবং CCR2। সেখানে এডিনবার্গ ইউিনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, এই জিনগুলোর বিন্যাস ভাইরাসের বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে, IFNAR2 জিনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই করোনার এই জিনকে টার্গেট করতে পারলেই করোনার সঠিক প্রতিষেধক বের করা সম্ভব হবে বলেই আশা দিয়েছেন তিনি।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!