এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন! বিজেপিকেও দেবেন একই উপহার? মুকুলকে নিয়ে আশায় গেরুয়া শিবির

মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন! বিজেপিকেও দেবেন একই উপহার? মুকুলকে নিয়ে আশায় গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হলেন মুকুল রায়। একটা সময় তৃণমূল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তিনিই। বলা যেতে পারে, তৃণমূল দলের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন তিনি। মূলত, তাঁর প্রচেষ্টাতেই ঘাসফুল পশ্চিমবঙ্গে শতধা বিকশিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে বিশেষ কিছু কারণে দলের সঙ্গে তাঁর সৃষ্টি হয় মনোমালিন্য। এর ফলে তিনি তৃণমূল ত্যাগ করে যোগদান করেন বিজেপিতে।

গত তিন বছর ধরে তিনি বিজেপিতে আছেন, বিজেপির শ্রীবৃদ্ধিও ঘটিয়েছেন। কিন্তু কোন মন্ত্রিত্ব বা উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কোন পদ এখনো তিনি লাভ করতে সক্ষম হন নি। এবার তৃণমূল দলের চাণক্যের মতো বিজেপি দলেও তাঁকে চাণক্যের মর্যাদায় ভূষিত করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাঁর উপরে বিশেষ আস্থাও জ্ঞাপন করলেন।

গত শুক্রবার ছিল বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও বাংলা বাঁচাও’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন যে, মুকুল রায় তৃণমূলের এক স্তম্ভ ছিলেন। তিনি সেসময় ছিলেন তৃণমূল দলের চাণক্য। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলায় চৌতিরিশ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটেছিল। মমতাকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কুরসী দান করেছিলেন। এবার তার হাতেই তৃণমূল অপসারিত হতে চলেছে। তৃণমূলকে উৎখাত করে বিজেপিকে তিনি ক্ষমতায় আনবেন। তার হাত ধরেই আগামী ২০২১ সালে বাংলা জয় করবে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই কর্মসূচি থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, যেদিন থেকে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছেন, তারপর থেকেই রাজনৈতিক আক্রোশে তৃণমূল তার বিরুদ্ধে ৫০ টি মামলা দায়ের করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে যাচ্ছেন যিনি বানাতে পারেন, তিনি নামাতেও পারেন। মুকুল রায় বাংলার রাজনীতির চাণক্য, তিনিই মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন।”

কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরো জানান যে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করলে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুতের বিল হ্রাস করা হবে। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করা হবে। দুই সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা ও মহরম সমান গুরুত্ব সহকারে রাজ্যে পালিত হবে। চিটফান্ড দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সকলকে জেলে পাঠানো হবে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি জানান, সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ঢাকা পড়েছে দুর্নীতির অন্ধকারে। অম্ফানের ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ দানের মতো বিষয়গুলি নিয়েও এ রাজ্যে দুর্নীতি দেখা গিয়েছে।

বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় মন্তব্যের জবাব দিতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ” উনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন, বাংলা নিয়ে কিছু জানেন না। ২০১১-তেও তিনি ছিলেন না, ২০১৬-তেও ছিলেন না। মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে তিন বছর কোনও পদ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই হতাশ মুকুলকে সান্ত্বনা দিতে ওই কথা বলছেন কৈলাশ।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!