এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নব্য-পুরোনো দ্বন্দ্ব অব্যাহত, সামনের ২০২১ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের !

নব্য-পুরোনো দ্বন্দ্ব অব্যাহত, সামনের ২০২১ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:- 2021 এ ক্ষমতা দখল বিজেপি কাছে প্রধান টার্গেট। কিন্তু ক্ষমতা দখল করতে গেলে সাংগঠনিক শক্তির পাশাপাশি দলে শৃঙ্খলা রাখা তা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বিজেপি নেতা, কর্মীরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং বচসা তৈরি করেছেন, তাতে বিজেপির শৃঙ্খলা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, এবার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা 1 ব্লকের গোপালপুর বাজারে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠককে কেন্দ্র করে তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। যেখানে পুরাতন এবং নতুন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে খবর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের পর প্রতিটি মন্ডলে বিজেপির পক্ষ থেকে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আর সেখানেই অভিযোগ ওঠে, পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আর এরপরই দলের অন্দরে জমা হতে শুরু করে ক্ষোভ। স্বাভাবিকভাবেই দলের কর্মীদের এই ক্ষোভকে সামাল দিতে রবিবার গোপালপুরে স্থানীয় প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি তথা কোচবিহার জেলা বিজেপির সদস্য অমল অধিকারী একটি বৈঠক করেন। যেখানে পুরনো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর কিছু সমর্থক সভা বানচাল করতে উদ্যত হয় বলে অভিযোগ। আর এরপরই তা নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, এভাবে যদি বিজেপিতে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে শুরু করে, তাহলে তারা কিভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করবে? নিজেদের দলের গোষ্ঠী কোন্দল কেন বন্ধ করতে পারছে না বিজেপির মত সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি অমল অধিকারী বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে যারা কাজ করেছেন, তাদেরকে দল এখন কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলের কোনো সভায় ডাকা হচ্ছে না। এই নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন কর্মীরা। আমরা ওই পুরনো কর্মীদের নিয়ে রবিবার সভা করি। সেখানে দলের একাংশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদের শান্ত করা হয়। দলের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নব্য বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এই কর্মসূচি করছেন নেতারা।”

তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন। তিনি বলেন, “অমলবাবু জেলা কমিটির সদস্য। তাই এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মতভেদ করা ঠিক নয়। এই নিয়ে সভাপতিকে জানানো হবে। তার সঙ্গে বসে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা জেনে নেওয়া হবে। আমাদের দলে পুরাতন নতুন বলে কিছু হয় না।” তবে জেলা নেতৃত্ব যে কথাই বলুন না কেন, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল যে এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এখন দলের দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!