এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনার হাত ধরে ফিরে এল ‘ফেলুদা’! দুই বঙ্গ গবেষকের অনন্য গবেষণাকে স্বীকৃতি! জানুন বিস্তারে

করোনার হাত ধরে ফিরে এল ‘ফেলুদা’! দুই বঙ্গ গবেষকের অনন্য গবেষণাকে স্বীকৃতি! জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা সংক্রমনের প্রথমদিকে অনেক সময় এমন দেখা যাচ্ছিল যেখানে কোন রোগী মারা যাওয়ার পর তার করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এর একমাত্র কারণ হল এতদিন ধরে করোনা পরীক্ষার যে ব্যবস্থা সরকারিভাবে অনুমোদন পেয়েছে সেই কিটের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করতে লেগে যাচ্ছিল অনেকগুলো দিন। যার ফলে বেশির ভাগ মানুষেরই মারা যাবার পর রিপোর্ট পজেটিভ আসছিল প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা হয়েছে তা বোঝার জন্য প্রয়োজন কিছু উপসর্গের এবং সংক্রমিত হওয়ার পর সেই বিশেষ লক্ষণগুলো ফুটে উঠতে যথারীতি কিছু সময় প্রয়োজন। তারপর যখন শেষপর্যন্ত শ্বাসকষ্ট বা নিশ্বাস জনিত কোন সমস্যা নিয়ে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতো, তখন অনেক দেরি হয়ে যেত এবং তারপর টেস্টের রিপোর্ট আসতে দেরী হবার ফলে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মরতে হতো বেশির ভাগ মানুষকে। তবে বর্তমানে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে হাজির হয়েছে নতুন টেস্টিং কিট এবং যা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বলে জানা গেছে। আর এই কিট বানিয়েছে বাংলারই দুই বঙ্গসন্তান। তবে কি এই টেস্টিং কিটের রহস্য, আসুন জেনে দেখি।

‘ফেলুদা’ এই টেস্টিং কিটের পুরো নাম FNCas-9 Editor Linked Uniform Detection Assay। তবে ভাবছেন তো, এতবড়ো নামের মাঝে ফেলুদা কোথায়! তবে সবকটি শব্দের আদ্যাক্ষর মিলিয়ে দেখলেই পেয়ে যাবেন ‘ফেলুদা’কে। জানা গেছে, এটিই হল দেশের প্রথম ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড্ শর্ট পালিনড্রোমিক রিপিট (ক্রিসপার) ভিত্তিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট। এই পরীক্ষার জন্য কোনও জটিল প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। পেপার স্ট্রিপের রঙের পরিবর্তনই বলে দেবে আপনার করোনার সংক্রমণ হয়েছে কিনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এই স্ট্রিপ প্রেগন্যান্সি টেস্ট স্ট্রিপের মতোই। আর এই পরীক্ষার জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতা কিংবা যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কেবল স্ট্রিপের রং বদল দেখেই বোঝা যায় কারো করোনা সংক্রমণ রয়েছে কিনা। যেকোনো সাধারণ প্যাথোলজিক্যাল‌ ল্যাবেই এই পরীক্ষা করা যাবে। তবে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই পরীক্ষা একশো শতাংশ নির্ভুল। তবে সেই সঙ্গে, বেসরকারি ল্যাবে RT-PCR টেস্টের ক্ষেত্রে যেখানে খরচ পড়ে ৪,৫০০ টাকা, সেখানে এই কিটের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার খরচও পড়বে মাত্র ৫০০ টাকা। অর্থাৎ যা অন্যান্য সংস্থার কিটের থেকে অনেকটাই কম। ফলে যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে বাজারে কবে পাবেন এই কিট? সে প্রসঙ্গে জানা গেছে, এপ্রিল মাসেই এই কিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিটটি যাঁরা তৈরি করেছেন অর্থাৎ ড. শৌভিক মাইতি ও ড. দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, সে সময় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই করোনা পরীক্ষার পেপার স্ট্রিপ তৈরি করেন। তবে সম্প্রতি সেটি দিল্লির ‘ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি’ (CSIR-IGIB)-এর ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে CSIR-IGIB-এর এই উদ্যোগের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেছে টাটা গোষ্ঠীকে। তাই শুধু এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অনুমোদনের অপেক্ষা আর তারপরেই সাধারণ মানুষের হাতে চলে আসবে এই ফেলুদা। তাই কিট পেতে আর দেরি না করে শুভস্য শীঘ্রম বলাই শ্রেয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!