এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > মমতার ঘোষণায় ‘পুরোহিত ভাতা’ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে আগ্রহ! কিন্তু কোন পথে ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে জল্পনা!

মমতার ঘোষণায় ‘পুরোহিত ভাতা’ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে আগ্রহ! কিন্তু কোন পথে ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুরোহিতদের জন্য মাসে হাজার টাকা করে ভাতা পুজোর মাস থেকেই চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে গৃহহীন, দরিদ্র পুরোহিতদের আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যের পুরোহিতবর্গ যেমন বিশেষভাবে উৎসাহিত হয়েছেন, তেমনি আবার নানা সংশয়ও দানা বাঁধছে তাঁদের মনে। সম্প্রতি, এই ভাতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নানা প্রশ্ন ও সংশয়ের প্রকাশ করলেন পশ্চিম বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের পুরোহিতেরা।

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল মহাকুমার এথোড়া গ্রামে এথোড়া বুড়ি কালীমাতা চতুষ্পাঠী, নামের একটি টোল পুরোহিতদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিগত ৮ বছর ধরে। এই টোলে প্রশিক্ষণ নিতে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ইত্যাদি জেলা থেকে শুরু করে, প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন বিভিন্ন স্থান থেকে পৌরোহিত্যে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন পৌরোহিত্য বিষয়ে পাঠরত বহু শিক্ষার্থী। এই টোলে পাঠরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁদের বিশেষ ভাতা দানের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা তাঁদের গ্রামের পঞ্চায়েত অফিসে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখান থেকে তাঁরা কোন সঠিক উত্তর পাননি। কোথায় গেলে এই ভাতা মিলবে, সে বিষয়েই রয়েছে বিশেষ সংশয়।এ প্রসঙ্গে এই টোলের সম্পাদক প্রীতম চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, এই ভাতার জন্য আবেদন কোথায় করতে হবে? সে বিষয়ে খোঁজ নিতে তিনি আসানসোলের মহকুমা শাসকের দপ্তরে যাবেন।

এ প্রসঙ্গে এথোড়া বুড়ি কালীমাতা চতুষ্পাঠী টোলের জনৈক সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ” এটা একটা স্বীকৃতি। কিন্তু কোথায় গেলে ভাতা পাব, তা কেউই জানাতে পারেননি।’’ আবার এই টোলের সদস্য ও সেইসঙ্গে কলেজের সংস্কৃত অনার্স পড়ুয়া অভিষেক চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে জানান যে, রাজ্য সরকার পুরোহিতদের ভাতা প্রদানের যে ব্যবস্থা করেছেন, তা নবীন প্রজন্মের পুরোহিতদের পূজার্চনা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষভাবে উৎসাহিত করবে, কিন্তু সরকারের প্রতি তাঁর অনুরোধ, এই ভাতাদানের ক্ষেত্রে সরকার যেন স্বচ্ছতার অবলম্বন করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার এথোড়া বুড়ি কালীমাতা চতুষ্পাঠীর প্রধান পন্ডিত ও সেইসঙ্গে সংস্কৃত সংস্কৃতি উন্নয়ন সমিতির রাজ্যের মুখ্য কর্মসচিব পণ্ডিত কার্তিক মুখোপাধ্যায় জানালেন যে, একজন যোগ্য ও প্রশিক্ষিত পুরোহিত হবার জন্য শিক্ষার্থীদের আদ্য, মধ্য ও উপাধি এই তিনটি পাঠক্রম সফলভাবে সমাপ্ত করা আবশ্যক। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর অনুরোধ,
” আমরা চাই, যোগ্য পুরোহিতেরা যেন এই ভাতা পান। এ জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড ঠিক করে রাজ্যের প্রথিতযশা পুরোহিতদের মাধ্যমে যোগ্যতা বিচার করে, প্রাপকদের নাম মনোনীত করা হোক।’’ প্রসঙ্গত, তিন দশক ধরে রাজ্যের একাধিক পৌরোহিত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান পন্ডিত রূপে কর্মরত তিনি।

তিনি ও এই টোলের বেশ কয়েকজন প্রবীণ পুরোহিত দাবি করেছেন যে, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ যেসব পুরোহিত নিয়েছেন অর্থাৎ যথাযথভাবে পৌরোহিত্যের পাঠক্রম অধ্যয়ন করেছেন, সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই কাউকে ভাতা দেওয়া হোক। না হলে এই ভাতার টাকা কোন অযোগ্য ব্যক্তির কাছে চলে যেতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করেছেন।

অর্থায়, কোথায় গেলে পুরোহিতেরা ভাতা পাবেন তা নিয়ে যেমন তাদের প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি কিসের ভিত্তিতে তাদের এই ভাতা দেয়া হবে তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তবে তাদের এই নানাবিধ প্রশ্নের উত্তর সম্প্রতি প্রশাসনের কাছে নেই। এ প্রসঙ্গে আসানসোলের মহকুমা শাসক দেবজিত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, পুরোহিতদের ভাতা দানের বিষয়ে কোনো তথ্য বা বিজ্ঞপ্তি সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে এসে পৌঁছয় নি। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন বিজ্ঞপ্তি এলেই তাঁরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে এথোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলী প্রধান মিঠু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ” কী ভাবে ভাতা মিলবে, তা নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনও তথ্য নেই। এটা পুরোহিতদের জানিয়েও দিয়েছি।’’

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!