এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > নিজের অজান্তেই দাম্পত্য জীবনে ডাকছেন না তো বিপদ? তৃতীয় ব্যাক্তির প্রবেশের দরজা খুলছেন না তো?

নিজের অজান্তেই দাম্পত্য জীবনে ডাকছেন না তো বিপদ? তৃতীয় ব্যাক্তির প্রবেশের দরজা খুলছেন না তো?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ব্যস্ততম জীবনে বর্তমানে সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কাজের তাগিদে। তাই পরিবারের মানুষ থেকে শুরু করে জীবনের প্রিয়তম ব্যক্তি সকলের কাছেই সময় দেওয়া হয়ে গেছে অত্যন্ত কঠিন। আর এর ফলে দিনের শেষে যেখানে আপনার বেডরুমে দুজনের দূরত্ব কমার কথা সেখানে কিন্তু দূরত্ব বেড়ে যেতে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই। দুটি মানুষের মধ্যে এই সমস্যা থেকে বর্তমানে অনেকক্ষেত্রেই দাম্পত্য জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের কাছে এমন সমস্যা নিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে অনেক দম্পতিকে। তাদের সমস্যার মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কিন্তু বর্তমানের এই টেকনোলজিকেই দায়ী করেছেন তারা।

তাদের মতে যেহেতু টেকনোলজি উন্নত হয়েছে তাই সেই টেকনোলজিকে কেন্দ্র করে জীবন উন্নত হবে সে কথাই স্বাভাবিক। তবে জীবনকে উন্নত করতে গিয়ে কোথাও কি আমরা আমাদের জীবনের সেই পরিবার বা ভালোবাসাকেই হারিয়ে ফেলছি এ কথা উঠে এসেছে বারবার। বর্তমানে মোবাইল আমাদের হাতের সঙ্গী দিনের শেষে অনেকেই কর্মব্যস্ততার পরে তাই মোবাইল হাতে নিয়ে কিংবা ল্যাপটপে নিজেদের পছন্দের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন অথবা সোশ্যাল সাইটে ঢুঁ মারেন। এর ফলে সারাদিন পরেও কথা বলার সঙ্গী জোটে না অনেক মানুষের। বিছানার পাশে বসে থাকা মানুষটিকে অবহেলা করে অনেকেই ব্যস্ত থাকেন ফোনের সুদূর পারে বসে থাকা কারুর সাথে নিভৃত আলাপে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাতেই সমস্যার সূত্রপাত হচ্ছে বলেই মনে করেন অনেকে। সম্প্রতি এই সমস্যা নিয়েই উঠে এসেছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন দেশে এই সমস্যাকে বর্তমানে টেকনোফেয়ারেন্স নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই অসুখ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, সাধারণত টেকনোলজির প্রতি অত্যধিক আসক্তি এর কারণ। টেকনোফেয়ারেন্স-এর ঝোঁক যে মানুষের যত বেশি তার জীবনের দাম্পত্য সমস্যা থেকে শুরু করে যেকোনো সমস্যা ততো বেশি হয় বলেই মনে করা হয়। কারণ একটি দাম্পত্য জীবনকে সুখের করে তুলতে গেলে সেখানে প্রয়োজন অপরদিকে থাকা মানুষটিকে গুরুত্ব দেওয়া। তিনি কি ভাবছেন, বা তিনি কি চাইছেন বা তাঁর সঙ্গে কিছুটা একান্ত সময় কাটানো।

তবে এক্ষেত্রে ফোনে বা ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকা মানুষটির কাছে সেই তাগিদ খুবই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। এর ফলে অপর ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস, লিবিডো, আকর্ষণ এই সবই ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে তৈরি হয় ডিপ্রেশন এবং তা থেকেই সম্পর্কের মধ্যে শিথিলতা তৈরি হয় বলেই মনে করেন অনেকে। যা পরবর্তীকালে বিবাহবিচ্ছেদ, এমনকি এক্সট্রাম্যারিটাল আফ্ফয়ারেন্সে পৌঁছে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে এর সমাধানও জানা গেছে মনোবৈজ্ঞানিকদের কাছ থেকে। তাদের মতে এক্ষেত্রে কয়েকটি স্বাভাবিক নিয়ম পালন করলে এই সমস্যা থেকে দূরে রাখা যায় দাম্পত্য সম্পর্ককে।

সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনি দিনের কিছু সময় টেকনোলজির পেছনে কাটালেও একটি নির্দিষ্ট সময় আপনার জীবন সঙ্গীকে দেওয়ার জন্য আলাদা করে রাখুন। সেক্ষেত্রে আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিন কোন সময়টা আপনারা একসঙ্গে কাটাতে চান। এছাড়া দিনের মধ্যে যেকোন একটা সময় একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেইসঙ্গে অল্প বিস্তর কথা বলতেও পারেন। এর ফলে খাওয়াটাও যেমন উপভোগ করা যায়, তেমনই দুজনের সঙ্গে ভালো সময়ও একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। যদি একান্তই রাতে স্মার্টফোনে বা ল্যাপটপে কিছু দেখতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে দুজনে মিলে আলোচনা করে নিতে পারেন কি দেখবেন।

ফলত পাল্টাপাল্টি করে একে অপরের পছন্দের কিছু জিনিস দেখলে একসঙ্গে কিছু দেখাও যেমন হয়, তেমন ভাবেই একসঙ্গে সময়ও কাটানো যায়। এর ফলে সম্পর্ক অনেক ভালো হয় বলেই মনে করা হয়। তবে সব শেষে বলতে হয় আপনার জীবনে আপনি কাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু জীবনে যদি এমন কোনো সমস্যা দেখা যায়, তবে সমাধান হিসেবে এগুলো প্রয়োগ করে দেখলেও দেখতে পারেন। কি বলা যায়, আপনার জীবনেও এগুলি কাজে লাগতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!