এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > চাকরি > করোনা পরিস্থিতিতে নিয়োগের হার কমছে, বাড়ছে বেকারত্ব, উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা

করোনা পরিস্থিতিতে নিয়োগের হার কমছে, বাড়ছে বেকারত্ব, উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই দেশে শুরু হয় লকডাউন। আর এই লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক অফিস কাছারি, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে। জানা যায়, সেসময় প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন। প্রচুর কোম্পানি ছাঁটাই প্রক্রিয়াও চালিয়েছে। লকডাউন ওঠার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা সত্বেও দেশের বেকার পরিস্থিতি কিন্তু একই রয়ে গেছে। জানা যাচ্ছে, ক্রমেই কমছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

2018 থেকে 2019- আর্থিক বছরে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সুযোগ হয়েছিল 5,42,504 জনের। 2019-2020 আর্থিক বছরে সেই পরিমাণ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে 4,96,003। এ তো গেল সরকারি পরিসংখ্যান। একটু বেসরকারি দিকে চোখ ফেরানো যাক। বেসরকারি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো খারাপ। গত এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে লকডাউনের কারণে প্রায় 60 লক্ষ পেশাদার নিজেদের কাজ হারিয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, করোনা পরিস্থিতির জন্য নিয়োগের হার এই বছর ভয়ঙ্কর রকমের ধাক্কা খেয়েছে।

উপরন্তু যারা চাকরি করতেন, তাঁদের কাজ গেছে। চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ গত বছরের তুলনায় প্রায় 50% কমে গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য সরকারের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। গত বছরের তুলনায় নিয়োগ কমে গেছে প্রায় 40 শতাংশ। ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম ডেটা অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে গড়ে প্রতি মাসে 9900 জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হত। তার আগের অর্থবর্ষে প্রতিমাসে গড়ে 11000 জনকে নিয়োগ করা হতো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এবছর শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত গড়ে মাত্র 5520 জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। আর মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে মাত্র 3500 জনকে। অর্থাৎ একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে যেমন দিনের-পর-দিন নিয়োগের হার কমছে, তেমনি অন্যদিকে রাজ্যের পরিস্থিতিও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয়।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যার ফলে সরাসরি সরকারি চাকরির সুযোগ কমে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এবং এর ফলে দেশে ক্রমশ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি চাকরিজীবীরা পরিস্থিতি তাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন। কিন্তু বেসরকারি চাকরিজীবীদের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। পর্যবেক্ষকেদের মতে, দেশে যদি চাকরির সুযোগ না হয় এবার অপরাধের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!