এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় দুই নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইস্তফাপত্র পাঠালেন প্রভাবশালী নেতা, অস্বস্তি তৃণমূলের অন্দরে

দলীয় দুই নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইস্তফাপত্র পাঠালেন প্রভাবশালী নেতা, অস্বস্তি তৃণমূলের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল দলের দলীয় কোন্দলে উত্তপ্ত হুগলি জেলার পুরশুড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। পুরশুড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর দাস দলীয় তৃণমূল দলেরই দুজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব ও পুড়শুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমিনউদ্দিন মিদ্দার কাছে ইস্তফাপত্র প্রেরণ করলেন।

পুরশুড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর দাস অভিযোগ করেছেন যে, প্রধান পদে আসীন থেকেও তৃণমূল দলের কিছু সদস্যের অশান্তিও ও বাধা দানের ফলে মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গত রবিবার বিকেলে পুরশুড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য দিলীপ পণ্ডিত ও খগেন্দ্রনাথ জানা তার বেশ কিছু অনুগামীদের নিয়ে উপস্থিত হন তাঁর বাড়িতে। তাঁকে মারধর করেন অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর অভিযোগ, একাধিক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত তাঁর উপরে জোর করে চাপাতে চাইছেন তাঁরা, তাঁদেরকে দিয়েই কাজ করাতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল দলের দুজন পঞ্চায়েত সদস্যের বাধা দেবার ফলে, নিজের পাড়াতে পানীয় জলের কল বসাতে পারেন নি তিনি। বহুবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে দল, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি তিনি। হুমকির ভয়ে গত সোমবার থেকে পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়া বন্ধ করেছেন তিনি। ফলে বন্ধ হয়ে আছে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম। প্রধানের স্পষ্ট দাবি, ‘‘হয় আমাকে অব্যহতি দিতে হবে, না-হলে দলীয় স্তরে ওঁদের (দলীয় দুই পঞ্চায়েত সদস্য) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থা না-নেওয়া পর্যন্ত অফিসে যাব না।”

তবে, এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ পন্ডিত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সম্পূর্ণভাবে। এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ” মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। এই নিয়ে (প্রধান) চার বার পদত্যাগের নাটক করলেন।’’ প্রধানের বিরুদ্ধে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়ে, টেন্ডার না ডেকেই প্রধান বিভিন্ন গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে অসন্তুষ্ট গ্রামের সাধারণ মানুষও। তাঁর দাবি, অপরাধ বোধ থেকেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করছেন পঞ্চায়েত প্রধান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অপর অভিযুক্ত খগেন্দ্রনাথ জানাও পঞ্চায়েত প্রধানকেই অভিযুক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, দুর্নীতি ও একাধিকবার পঞ্চায়েতের তহবিল তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান। এমনকি জবকার্ড দিতেও টাকা নিয়েছেন তিনি।তাঁর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, ” দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে তাঁরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করুন।”

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরশুড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন এর পর থেকেই পঞ্চায়েত পরিচালনায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতভেদ শুরু হয়। এ বিষয়ে প্রধানকে সমর্থন জানিয়েছেন ৫ জন জানিয়েছেন। বিরোধী দিলীপ পণ্ডিতকে ৬ জন। একাধিকবার গোষ্ঠী বদল ঘটেছে দু’পক্ষের পঞ্চায়েত সদস্যদের। বেশ কয়েকবার ঘটেছে মারামারি, হাতাহাতির মতো ঘটনাও।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে বেশ কিছু সমস্যা আছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে খুব শীঘ্রই বসব। তারপর যা করা উচিত, তা করা হবে।” প্রসঙ্গত তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি অস্বীকার করেননি তিনি। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিডিও অচিন্ত্য ঘোষ জানিয়েছেন, ” পঞ্চায়েতে অশান্তি নিয়ে অতীতে কিছু অভিযোগ সেছিল। নতুন করে কোনও অভিযোগ পাইনি। প্রধানের কোনও চিঠি প্রশাসনিক স্তরে আসেনি।” নিজেদের এই গোষ্ঠীকোন্দলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!