এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবারও রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি, বিজেপি না তৃণমূল? চলছে দোষারোপের পালা

আবারও রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি, বিজেপি না তৃণমূল? চলছে দোষারোপের পালা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বাংলার রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় বিরোধী দলগুলি। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ততই বেড়ে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে একে অপরকে দোষারোপ এর পালা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধের জন্য যতই রাজ্য প্রশাসন ব্যবস্থা নিক না কেন, দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ক্রমশ বেড়ে চলেছে রাজ্যজুড়ে।

এবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটল হুগলির তারকেশ্বরে। জানা যাচ্ছে, সেখানকার তৃণমূল নেতার বাড়িতে রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা বোমাবাজি করেছে এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই এই বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দল বিজেপির দিকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে তারকেশ্বরের আস্তারা দত্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সালেপুর গ্রামে তৃণমূল নেতা অমিয় ঘোষের বাড়িতে কেউ বা কারা বোমাবাজি করেন। এ প্রসঙ্গে অমিয় ঘোষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে কেউ বা কারা তাঁর বাড়িতে হঠাৎই বোমা মারে।

তিনি আরও জানান, প্রশাসন থেকে একটি না ফাটা বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এদিন এই হামলার পেছনে তিনি বিজেপিকে দায়ী করেছেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী পাল্টা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সম্প্রতি 33 নম্বর সালেপুর গ্রামে বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান হয়েছিল এবং তাই নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দ্বন্দ্বও লেগেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরই তিনি সরাসরি অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বোমা পিস্তল নিয়ে ঘোরার জন্য। তবে তারকেশ্বর জুড়ে যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভালোই বিদ্যমান সে কথা তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এদিন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সালেপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন দল থেকে শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষকে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে দিলীপ ঘোষের ‘বদলা ও বদল’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কটাক্ষ।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির উত্থান হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারপর থেকেই তৃণমূল ভার্সেস বিজেপির লড়াই জমে উঠেছে রাজ্যের সর্বত্র। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু চরম আকার ধারণ করেছে বর্তমানে। আপাতত তারকেশ্বরের এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে। তবে এলাকা এখনো থমথমে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের সাধারণ মানুষ আশা করে হিংসাবিহীন রাজনীতির। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হিংসা যে দলই চরিতার্থ করুক না কেন, সাধারণ মানুষের মনে কিন্তু তার কুপ্রভাব পড়বেই। অতএব রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ করে যদি সুষ্ঠুভাবে রাজনীতি করা যায়, সেটাই কাম্য। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাঁদের চিন্তাভাবনা কেন্দ্রীভূত করেছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। আর সেই লড়াই জিততে মরিয়া প্রায় সব দল। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!