এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথা শোনেন না!” প্রকাশ্য সভায় বিস্ফোরক অভিষেক! বাড়ছে জল্পনা!

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথা শোনেন না!” প্রকাশ্য সভায় বিস্ফোরক অভিষেক! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী নেতাদের আক্রমণ করতে গিয়ে এ যেন নিজের দলকেই বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অলিখিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল দলে পিসি ভাইপো শেষ কথা বলেন। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে আক্রমণ করে বিরোধীরা। এমনকি মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখানোর পরে সেই অভিযোগ তুলে শাসক শিবিরকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন।

প্রায় প্রতিটি সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেড়জনের সরকার চলছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিরোধী তথা সমালোচকদের সেই বক্তব্যের জবাব কুলতলির সভা থেকে দিতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে তার কথা ঠিকমত শোনা হয়নি বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। যা পরোক্ষে দল তথা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ঠিক কোন ইস্যুতে এই মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?

সূত্রের খবর, আজ দক্ষিণ 24 পরগনা কুলতলী তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল যেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে ওঠে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠি তুলে ধরে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তার পরেই তিনি বলেন, “গত 2016 সালে আমি একটা কথা বলেছিলাম। হয়ত বা মিডিয়াতে সেভাবে প্রকাশ হয়নি। কিন্তু আমি বলেছিলাম, যারা দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের পেছনের সারিতে রাখা হোক। কিন্তু সেদিন যদি আমার কথা শোনা হত, তাহলে আজকের এই সমস্ত দুর্নীতিবাজেরা শ্রীঘরে থাকতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি উদারতা দেখিয়েছেন বলে আজকে এই অবস্থা।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলে সমালোচকদের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, সদ্য দল থেকে যারা বিজেপিতে গিয়েছে, তারা প্রায়ই অভিযোগ করছে যে, তৃণমূল পরিচালিত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা। কিন্তু এককালে তিনি একথা বললেও যে তা শোনা হয়নি এবং এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার যে, দলে সব সময় তার কথা শোনা হয় না, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

অর্থ্যাৎ এক কথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে জনমানসে পেশ করা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায়ের তৃণমূল সম্পর্কে মন্তব্যকে কার্যত ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন বলেই দাবি করছেন একাংশ। অনেক আবার বলছেন, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের আক্রমণ করার চেষ্টা করলেন। তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, এই সমস্ত নেতারা যথেষ্ট দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদারতার জন্য তারা ছাড় পেয়ে গিয়েছেন। অথচ তারা আজকে বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন।

আর এখানেই প্রশ্ন, কেন তাহলে তৃণমূলে থাকার সময় এই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যবস্থা গ্রহণ করল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল! প্রকাশ্য সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর এই প্রশ্ন কিন্তু আরও জোরালো ভাবে উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। একাংশের দাবি, হয়ত বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলে তৃণমূল কংগ্রেস তার কথামত চলে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু তার এই মন্তব্যের পর যে বিরোধীরা তেড়ে-ফুঁড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সব মিলিয়ে কুলতলির সভা থেকে নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!