আরাবুল-অনুব্রতদের পঞ্চায়েতি দাপট দেখে কি বলছেন বাম-জামানার ভোট মাস্টাররা? বিশেষ খবর রাজ্য April 11, 2018 আরাবুল-অনুব্রতদের পঞ্চায়েতি দাপট দেখে কি বলছেন বাম-জামানার ভোট মাস্টাররা? দেখে নেওয়া যাক। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন দোরগোড়ায় তখন বিরোধী নেতাদের একেবারে একঘরে করে দিয়েছেন অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল, আরাবুল ইসলাম, শেখ সুফিয়ান, রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের মতো তৃণমূল নেতারা। এবিষয়ে একসময়ের দাপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ”যাঁরা এখন সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন, তাঁদের কাছে জবাবটা নেওয়াই ভাল! আমি তো দলের এক কর্মী মাত্র।” ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নেতাদের দাপটে প্রায় কোনঠাসা আরামবাগের অনিল বসু, হলদিয়ার লক্ষ্মণ শেঠ, খেজুরির হিমাংশু দাস, শাসনের মজি়দ মাস্টার, নাটাবাড়ির তমসের আলিদের মতো নেতারা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে একসময় এঁদের দাপটে মাছি গলার জো ছিলোনা বলে অভিযোগ তৎকালীন বিরোধী নেতাদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে যে চরম অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা কটাক্ষ করে এদিন অনেকে বলেছেন, “কেষ্ট-কাহিনি বদলায়নি! পুরনোদের দেখানো পথেই বহু দূর এগিয়ে গিয়েছেন এ যুগের কেষ্টরা!” এদিন আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ অনিল বাবুকে কেমন আছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ”এই তো কাঁচা মুণ্ডু চিবিয়ে বেঁচে আছি!” দলের এমন অবস্থার জন্য তাঁকে দায়ী করা হচ্ছে বলা হলে তার পাল্টা জবাবে তিনি বলেন, ”যারা এটা বলে শান্তি পাচ্ছে, পাক!” এই হামলার মোকাবিলা বিষয়ক প্রশ্ন উঠলে এদিন এক প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ”নবান্নে গিয়ে ফিশফ্রাই খেয়ে এলে কিছুই হবে না! পারলে রাস্তায় নামো, অবরোধ করো, বন্ধ ডাকো! স্থানীয় কমিটিগুলো তো সব তৃণমূলের কাছে বন্ধক দিয়ে বসে আছে!” এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর যখন মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত তখন হিমাংশুবাবু পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সুপার তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ৩৪ বছরে আপনারা যা করেছিলেন, তা-ই হচ্ছে।” খেজুরি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন, ”কিছু অন্যায় হয়েছিল। কিন্তু বলুন, এই জিনিস দেখেছিলেন কখনও? আগে টিভি চ্যানেল ছিল না। কিন্তু পুরনো কাগজ খুলে এখনকার ছবির সঙ্গে একটু মিলিয়ে দেখুন না!” এক সময়ের দাপুটে নেতা মজিদের হালও শোচনীয়। একবার বারাসাতে আবার একবার দলের দফতরে বাসা বদলাতে হয় তাকে। তৎকালীন দাপুটে নেতাদের কোনঠাসা করেছে বর্তমান শাসকদল। কিন্তু বর্তমান শাসকদলেরও যে একই পরিণতি হবে না তা হলফ করে বলা যায় না বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। আপনার মতামত জানান -