এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আধিকারিক নিয়োগ নিয়ে তীব্র বিতর্ক, দুর্নীতির অভিযোগ শাসকদলের দিকে

আধিকারিক নিয়োগ নিয়ে তীব্র বিতর্ক, দুর্নীতির অভিযোগ শাসকদলের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন আসার আগেই আবারও নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো হলদিয়া পুরপ্রধানের দিকে। দীর্ঘদিন ধরেই অবশ্য বিরোধী দলগুলি শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আসছে। এবার হলদিয়া পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ আরো তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি সেখানে এগজিকিউটিভ অফিসার নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সাধারণত এগজিকিউটিভ অফিসারদের নিয়োগ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।

সেখানে কোনো নাম নির্দিষ্ট করে বলা যায়না। কিন্তু হলদিয়া পুরপ্রধান সেরকমই নির্দিষ্ট করে নাম বলে দিয়েছেন এগজিকিউটিভ অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বিরোধীদের কটাক্ষ। হলদিয়া পুরসভায় সম্প্রতি এগজিকিউটিভ অফিসারের পদটি খালি হয়ে যায়। গত 6 সেপ্টেম্বর থেকেই এই পদ খালি। ওই পদে ছিলেন আগে ষাটোর্ধ্ব রবীন্দ্রনাথ জানা। তাঁর বাড়ি ছিল তমলুকে। বলা হয়, তমলুক থেকে হলদিয়া পর্যন্ত যাতায়াতে ওই এগজিকিউটিভের সমস্যা হচ্ছিল, তাই জন্যই তাঁর চুক্তিপত্রের পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।

এরপর হলদিয়া পুরপ্রধানের তরফ থেকে গত 16 জুলাই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে একটি চিঠি দিয়ে হলদিয়া মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর বিশ্বাসকে ওই পদে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয্। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অন্যদিকে হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামল কুমার আদককে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি পুরো ব্যাপারটাই এড়িয়ে গেছেন পুরসভার আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, একজন পুরপ্রধান অবশ্যই কর্মরত কোন সরকারি আধিকারিক বা অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে পাঠানোর কথা বলতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট নাম প্রস্তাব করে চিঠি দিতে পারেন না। তবে পুরো ও নগরোন্নয়ন দপ্তরও হলদিয়ার পুরপ্রধানের কথায় কোনরকম কর্ণপাত না করে নিয়োগ করে নীলেশ মহাপাত্র নামে এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে। গত 14 সেপ্টেম্বর সেই অনুযায়ী নির্দেশ জারি হয়। 15 দিনের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই আধিকারিকের। কিন্তু পুরকর্মীদের একাংশই জানাচ্ছেন, ওই আধিকারিক পুরসভায় এলেও তিনি কাজে যোগ দেননি। অন্যদিকে বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, ওই আধিকারিককে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে হলদিয়ার বাম বিধায়ক তাপসী মন্ডল জানিয়েছেন, এভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম সুপারিশ করার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো অভিসন্ধি রয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েকের আবার অভিযোগ, প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে পুরকর্তৃপক্ষের কাটমানি সংক্রান্ত ভাগ বাঁটোয়ারার কথা নির্দিষ্ট হয়েছে। আর সেকারণেই পুরকর্তৃপক্ষ এমন প্রস্তাব দিয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হলদিয়া শহর তৃণমূল সভাপতি মধুরিমা মন্ডল অবশ্য জানিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, যার কোন উত্তর হয় না।

হলদিয়া পুর প্রধানের এই সুপারিশের কারণে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। তৃণমূল শিবিরের অন্দরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেন ওই পুরপ্রধান নির্দিষ্ট ভাবে কারোর নাম সুপারিশ করলেন, তার অবশ্য এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে যে আধিকারিককে নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, তিনি বা কেন কাজে যোগ দেননি সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া চলছে। আপাতত আধিকারিক বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়, সেদিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!