এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগামী পুরসভা নির্বাচন ঘিরে রাজ্যপালের অগ্রণী ভূমিকা

আগামী পুরসভা নির্বাচন ঘিরে রাজ্যপালের অগ্রণী ভূমিকা


রাজ্যের বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সব রিপোর্ট ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের দরজায় কড়া নাড়ছে পুরসভার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের দিকে নজর রেখেই রাজ্যপাল পরিষ্কার করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়ে দিয়েছেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা করতে গেলে যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন তা যেন অনায়াসেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার গ্রহণ করেন। অন্যদিকে, রাজ্যপালের পৌরসভা নির্বাচনের মধ্যে এহেন ভূমিকাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।

রাজ্যের সামনে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন। তবে বিগত বেশ কিছু নির্বাচনে দেখা গেছে, রাজ্যে হিংসাত্মক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এবার সরাসরি পুরসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ডেকে পাঠান রাজভবনে। সেখানেই তিনি নির্বাচন কমিশনারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাতে অবাধ নির্বাচন হয়। পুরভোট নিয়ে একাধিক বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, আগামী পুরসভা নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে পাঁচ দফা নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপাল পাঁচদফা নির্দেশের মাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামী পুরসভা নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়। কোন রকম অশান্তির পরিবেশ যেন না সৃষ্টি হয়। রাজ্যে হিংসাত্মক পরিবেশ যেন ফিরে না আসে। অন্যদিকে উল্লেখযোগ্যভাবে রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটের দিন ঠিক করা হলেও বিরোধীদের মতামত এব্যাপারে গ্রহণযোগ্য হবে। এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে স্পষ্টতই নির্দেশ দিয়েছেন কোনভাবেই যেন সংবিধান লংঘন না হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার চাইছে আগামী এপ্রিলের মধ্যেই পুরনির্বাচন সম্পন্ন করতে। এ ব্যাপারে তাঁরা ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। রাজ্য সরকার কলকাতা এবং হাওড়ার পুরনির্বাচনের জন্য 12 ই এপ্রিল দিনটি স্থির করেছে এবং অন্যান্য রাজ্যে 26 অথবা 27 এপ্রিল পুরনির্বাচনের জন্য। ইতিমধ্যেই উল্লেখ্য দিনগুলির সম্ভাবনা মাথায় নিয়ে রাজ্য সরকার পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। জানা গেছে, নবান্ন থেকে ইতিমধ্যে সমস্ত পুরসভা থেকে এলাকার কাজের খতিয়ান চাওয়া হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজগুলি যাতে অগ্রগতি পায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে জানা গেছে, প্রাথমিক অবস্থায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিজেপি পুরনির্বাচনের তারিখ নিয়ে একমত হলেও পরবর্তীতে তাঁরা তাঁদের আপত্তি জানিয়েছে। জানা গেছে, রাজ্য বিজেপি এই মুহূর্তে পুরনির্বাচন চাইছে না। তাঁদের দাবি উচ্চমাধ্যমিক শেষ না হলে কোথাও প্রচার চালানো যাবে না। এদিকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ হবার পর হাতে থাকবে মাত্র সামান্য কয়েক দিন। সুতরাং বিজেপি শিবির তাঁদের প্রচার সম্পূর্ণ করতে পারবেনা। সে কারণে নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন করার দাবি জানানো হয়েছে।

তবে এখনো পর্যন্ত কলকাতা এবং হাওড়া সহ রাজ্যের 102 টি পুরসভার ভোটগ্রহণ নিয়ে কোনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেনি কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনারকে তলব নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রাজনোইতিক মহলের অনেকেই। যদিও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে শাসক দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কটাক্ষ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপাল নিজ দায়িত্বে রাজ্যের পরিস্থিতি নজরে রাখছেন। সেক্ষেত্রে কারোর কিছু বলার থাকতে পারে না। আপাতত পুরসভা নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!