প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই সমস্ত ঘটনায় রাজনীতির রং লাগতে শুরু করেছে। এবার বাগবাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাগবাজার বস্তিতে আগুন লাগে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রীরা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন এই বাগবাজার অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে সহানুভূতি পেতে তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগাচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সায়ন্তন বসু।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। আর সেখানেই এই বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরেন তিনি। সায়ন্তন বসু বলেন, “কলকাতায় পর পর যে ক’টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সবকটির নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। ইচ্ছে করে দমকলকে দেরিতে পাঠানো হচ্ছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসবে এরপর মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের সহানুভূতি প্রমাণের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।”

আর বিজেপি নেতা ষড়যন্ত্রের পেছনে রাজ্যের শাসকদলের হাত আছে বলে যে অভিযোগ করলেন, তাতে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। তাহলে কি সায়ন্তন বসুর কাছে এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ রয়েছে! আর তাই তিনি এই বাগবাজার অগ্নিকাণ্ডের পেছনে তৃনমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন!

বিশ্লেষকেরা বলতে শুরু করেছেন, বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে আসতে দেখা যায় সায়ন্তন বসুকে। বাগবাজার অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পেছনেও যেভাবে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে পারে। হঠাৎ করে যেভাবে সহানুভূতি পেতে তৃণমূল আগুন লাগাচ্ছে বলে দাবি করা হল, তাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ময়দানের নামা হতে পারে বলেও মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সায়ন্তন বসুর এহেন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।