এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কি হলো আলোচনাতে, মিললো রফাসূত্র? পার্থ জিইয়ে রাখলেন জল্পনা!

কি হলো আলোচনাতে, মিললো রফাসূত্র? পার্থ জিইয়ে রাখলেন জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর পর বর্তমানে রাজনীতিতে ফোকাস পয়েন্টে রয়েছেন রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর বক্তব্য থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মসূচিতে অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়। আর সেখানেই উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একাধিক প্রশ্ন।

বস্তুত, সেইসময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথার পর চলতে থাকা জল্পনাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তাঁর নামে পোস্টার এবং ফ্লেক্স লক্ষ্য করা যায়। সেই সঙ্গে অন্যদিকে তাঁর বক্তব্যের পর বলা হয়েছিল তিনি শুভেন্দু অধিকারীর মতাদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতিতে কাজ করছিলেন। আর সেখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছিলেন যে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে যে সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের দল ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে, তাদের মধ্যে থেকে বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির নাম উঠে আসবে।

এরই মধ্যে উদয়ন গুহ কটাক্ষ করে বলেন যে, “জল, জঙ্গল নয় পদ্মফুল’ এই তিনটির কোনওটিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যয় বেছে নেবেন। যদিও এরই মাঝে দলের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাঁকে। ফলাফল? তাঁরও দল ছাড়ার তীব্র জল্পনা শুরু হয়। আর এরপরই তাঁকে নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় দল।

রবিবার দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়। ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকে সেখানে এনারা ছাড়াও দলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। তবে বৈঠক নিয়ে সকলের উৎকণ্ঠা থাকলেও বৈঠক সেরে বেরনোর পরও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় তেমন কোনও স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি বলেই জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বরং দলের সঙ্গে মনোমালিন্য মিটল কি না, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে বলে জানা গেছে। এদিন কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় পড়া পোস্টার নিয়ে তিনি বলেন, “কারা করছে, জানি না। এটা যাঁরা করছে, তাঁদের নিজেদের ব্যাপার। আমার এ নিয়ে কিছু বলার নেই।” সেইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।

সেখানে তাঁদের উভয়ের মধ্যে যে তুলনা করা হয়েছে সেই নিয়ে তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আলাদা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা। কারও সঙ্গে কারও তুলনা চলে না। উনি ওঁর কথা বলেছেন, আমি আমারটা বলেছি।” অন্যদিকে, বৈঠকের ফলাফল হিসেবে তাঁকে গা ছাড়া জবাব দিতেই দেখা গেছে।

তাঁর কথায়, “দলীয় আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল, এসেছিলাম। আলোচনা হল। পরেও প্রয়োজনে আলোচনা হবে।” সেইসঙ্গে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “মনে করি, দলের কারও যদি দলের প্রতি কোনও ক্ষোভ তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে ফেলা উচিত।” সেইসঙ্গে দলকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে বলেই মনে করছেন তিনি।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, হয়ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কিছু শর্ত জানিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী আলোচনা হতে পারে বলেও এদিন জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান অথবা দল নিয়ে রাজীবের মনোভাব কী, এ নিয়ে জল্পনা থেকেই যাচ্ছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!