আমপান দুর্নীতি ‘ঢাকতে’ বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের? আরও বড় দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা! কলকাতা তৃণমূল রাজ্য August 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ নিয়ে অভিযোগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অস্বস্তি যেন কমছে না কিছুতেই। ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ কে টাকা পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে কাছের লোকদের সাহায্য পাইয়ে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা আর এরই মাঝে সেই ঘটনার গুরুত্ব কমাতে এবং বিরোধীদের বক্তব্যের আনতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক কমানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস উদ্যোগী হলেও এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করেও তীব্র বিতর্ক তৈরি হল শাসকদলে। জানা গেছে, নবদ্বীপের আটটি ব্লক মিলিয়ে কমবেশি 11 হাজারের কাছাকাছি মানুষের নাম এই তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অনেকেরই অভিযোগ, শাসকদলের পার্টি অফিসে বসে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃত দীন দরিদ্র মানুষদের নাম সেই বাড়ি তৈরি থেকে বাদ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের নাম সেখানে তোলা হয়েছে। যার ফলে ব্যাপক দুর্নীতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। বস্তুত, স্বরুপগঞ্জে মোট 2567 জনের নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে অনেক তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম 169 নম্বর বুথের তৃণমূল সদস্য বিজয় সর্দার, তার মা কল্পনা সর্দার এবং ভাই রাজু সর্দারের নাম। একইভাবে স্বরুপগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মা প্রতিমা চৌধুরী, দেওর কৌশিক রায় এবং খুড়তুতো দেওয়ার আকাশ রায়ের নাম এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। অনেকেরই প্রশ্ন, বেছে বেছে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের ঘনিষ্ঠদের নাম কেন বাড়ি তৈরীর তালিকায় রয়েছে? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশের মতে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কাছে প্রধান অস্ত্র দুর্নীতি। ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা নিয়ে এমনিতেই বিরোধীরা শাসক দলকে জেরবার করে দিয়েছে। আর এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়া নিয়ে যেভাবে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের ঘনিষ্ঠদের নাম সেই তালিকায় উঠেছে, তাতে তৃণমূল তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। এদিন এই প্রসঙ্গে স্বরুপগঞ্জ পঞ্চায়েতের 158 নম্বর বুথের সিপিএম সদস্য সোহরাব মির্জা বলেন, “পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকা জনগণনায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। কিন্তু এবারের তালিকা তৃণমূল কিসের ভিত্তিতে তৈরি করেছে? এদের বিষয়ে কারা, কখন খোঁজ করলেন? অ্যাপের মাধ্যমে যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন, তারা ঘর পাওয়ার যোগ্য কিনা, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল। তৃণমূল যা বলেছে, তেমনভাবেই তালিকা তৈরি হয়েছে।” একইভাবে এই ব্যাপারে বিজেপির মন্ডল সভাপতি রতন ভৌমিক বলেন, “অনেক অনুপযুক্ত লোকের নাম রয়েছে। পুরোটা দেখে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা নিশ্চিত, এমন অনেক উদাহরন মিলবে।” আর বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকা নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করা শুরু হয়েছে, তখন শাসক দল এই গোটা ঘটনাকে কিভাবে মোকাবিলা করে, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। তবে এই গোটা ঘটনায় যদি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে সামনের নির্বাচনে দুর্নীতি যে তৃণমূলকে প্রবলভাবে বিদ্ধ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -