এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আম্ফান কিছুই নয়, আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে যশ, সতর্ক করছেন আবহবিদেরা

আম্ফান কিছুই নয়, আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে যশ, সতর্ক করছেন আবহবিদেরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত সময় এগিয়ে যাচ্ছে, ততই বাংলা ও ওড়িশার দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ। এখনো পর্যন্ত যা রয়েছে ১৬ ডিগ্রি ৩৪ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৭৯ ডিগ্রি ৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। দীঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে যশ এখন আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে। বিপুল জলোচ্ছ্বাস নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে যশ। আবহবিদেরা সতর্ক করছেন যে, আম্ফানের তুলনায় অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক হতে চলেছে যশ। ঝড়ের গতিবেগ ও বিস্তৃতি অনেক বেশি হবে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় বারবার আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়। গতবছরের আমফানের স্মৃতি এখনো পর্যন্ত ভুলতে পারেননি রাজ্যের মানুষ। তার আগে এসেছিল আয়লা, ফনি। আর এবার আসতে চলেছে যশ। প্রকৃতির রুদ্ররূপ বারবার আতঙ্কিত করেছে উপকূলের মানুষদের। যশের গতিবেগ সাধারণত ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ধরা হলেও, আশঙ্কা আছে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলে যেতে পারে এর গতিবেগ। আমফানের গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৮৫ কিলোমিটার। তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে যশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে, বুধবার সকালেই ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ভাগ স্পর্শ করবে যশ। দীর্ঘক্ষন সমুদ্রবক্ষে থাকার জন্য ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি ঘটেছে যশের। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সিভিআর সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে যশ। এ কারণে তা হতে পারে আরো বেশি ধ্বংসাত্মক, এর বিস্তৃতি হবে অনেক বেশি, আয়তন অনেকটা বড় হবার কারণে। আশঙ্কা আছে সাগর ও পারাদ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়তে পারে যশ। দক্ষিণবঙ্গর একাধিক জেলায় এর প্রভাব পড়বে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামীকাল থেকে শুরু হবে প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো হওয়া। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও চলবে প্রবল বর্ষণ।

যে সমস্ত এলাকায় ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই এলাকার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়কের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ের আগে ও পরে মানুষকে সমস্ত রকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিধায়কদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। যতক্ষণ না দুর্যোগ কাটছে, ততক্ষণ নিজের বিধানসভা এলাকায় নজরদারি রাখতে হবে। ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য উপযুক্ত পরিমাণে খাদ্য মজুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!