এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পেটের দায়ে সামাজিক বিধি শিকেয়! আমপান বিধ্বস্ত সুন্দরবনের হু হু করে বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ?

পেটের দায়ে সামাজিক বিধি শিকেয়! আমপান বিধ্বস্ত সুন্দরবনের হু হু করে বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ?


করোলা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে প্রবেশ ঘটেছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপানের। যে ঝড়ের দাপটে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে কলকাতা, দুই 24 পরগনা, সুন্দরবন সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। আর ঝড়ে সর্বস্ব হারানো মানুষরা এখন ত্রাণ নিতে একত্রিত হওয়ায় বিন্দুমাত্র সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে সেখান থেকেই করোনা ভাইরাস সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগে থেকেই সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে আসতে শুরু করেন জেলা প্রশাসন। বহু স্কুল এবং বাড়িতে তাদের রাখা হয়। তবে সেখানে বিন্দুমাত্র সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি।

আর এবার ভয়াবহ তান্ডব এরপর যখন মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছেন এবং তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই পাথরপ্রতিমা থেকে কুলতলি, গোসাবা থেকে রাঙাবেলিয়া সর্বত্র একসাথে প্রচুর মানুষকে সেই ত্রাণ নিতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে আশ্চর্যজনকভাবে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকরাও যাচ্ছেন বলে খবর রয়েছে। আর এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা এমনিতেই যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরছে, তাদের বেশিরভাগই শরীরের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। তাই সকলে ত্রাণ নিতে এক জায়গায় জড়ো হওয়ায় ক্রমশ চাঞ্চল্য বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু যেখানে করোনা ভাইরাস বাড়ছে, সেখানে কেন তারা সামাজিক দূরত্ব পালন করছেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে মোল্লাখালির বাদল মন্ডল বলেন, “মানুষের খাওয়া জুটছে না। সরকারের ত্রাণ ও সেইভাবে পৌছচ্ছে না। এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে। মানুষ ভুলেছে করোনাকে। তাই সব মানুষ একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে সুন্দরবন দ্বীপে করোনা ব্যাপক আকার ধারণ করবে।”

কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “উপায় নেই মানুষ কি করবে, বুঝে উঠতে পারছে না। বহু শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাড়িতে চলে এসেছে। তারাও চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” সব মিলিয়ে দুর্যোগের ফলে ত্রাণ নিতে সামাজিক দূরত্ব না মানায় সুন্দরবনে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলেই আশঙ্কা করছে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!