পঞ্চায়েত ভোটে আহত দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর পরিকল্পনায় রাজ্য বিজেপি কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 2, 2018 রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্রের যে মারণযজ্ঞ চালিয়েছিল তৃণমূল সরকার বলে বিজেপির অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে বঙ্গের কোনায় কোনায় বিজেপি তো সরব হয়েই ছিলো,এমনকি গত জুন মাসের ২৫ তারিখ দিল্লি,মুম্বাই,বেঙ্গালুরু সহ গোটা দেশেই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলো পদ্ম নেতৃত্ব তথা কর্মী-সমর্থকরা। সবটাই ছিল বঙ্গের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবীতে। আর এবার বিজেপি কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে সর্বভারতীয় প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় পদ্মবাহিনীর সেনাপতি অমিত শাহ। জানা যাচ্ছে, ২ জুলাই তারিখে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত কর্মীদের জন্য রাজঘাটে গিয়ে ধর্ণায় বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বরা। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য পাওয়া গেছে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর। তিনি শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রের ফাঁপা সংজ্ঞাই দেন শুধু। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্রকে কীভাবে প্রহসণ বানিয়েছেন তা জানতে আর কারো বাকি নেই। বিরোধীদের ৩৪% আসনে দাঁড়াতেই দেয়নি। গোট নির্বাচন পর্বে ৬০ জন রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছে। আর এই প্রতিবাদ জানানোর জন্য এবার কেন্দ্র ছুটছেন তাঁরা। গোটা দেশের সামনে তৃণমূলের মুখোশ উপড়ে ফেলতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দরবারে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে পদ্মবাহিনীর। যদিও এ নিয়ে এখনো রাইসিনা হিলসের চূড়ান্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি। em>আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। অন্যদিকে,জানা যাচ্ছে দিল্লি ছাড়াও কর্নাটক সহ দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও একইভাবে বঙ্গের নিরপরাধ বিজেপি কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রস্তাব এসেছে বঙ্গের পদ্ম নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের কাছে। কর্নাটকের ওই নেতা দাবীতে জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন দিল্লীতে দলের সদর দপ্তরে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা বিষয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই বঙ্গের রাজনীতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় প্রাদেশিক বিজেপি নেতৃত্বদের মধ্যে। তবে লোকসভা ভোটের আগে পড়শি রাজ্যের রাজনীতি নিয়ে মাতামাতি করার পর্যাপ্ত সময়ও নেই তাঁদের। তাই আলাদা করে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহনের ইচ্ছে থাকলেও সেটা হচ্ছে না। যৌথ উদ্যোগ কেন্দ্রেই আয়োজন করা হয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচি। যাতে বঙ্গের তৃণমূল সরকারের আসল স্বরূপ দেশের আমজনতার সামনে তুলে ধরা যায়। আপাতত এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সক্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে পদ্ম নেতৃত্বদের মধ্যে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -