এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > অমিত শাহের সফরকালে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙ্গন, জেনে নিন বিস্তারিত

অমিত শাহের সফরকালে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙ্গন, জেনে নিন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে, তাদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে বঙ্গ সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত বুধবার রাতে তিনি পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকালে অভূতপূর্ব সাফল্য বিজেপির। তৃণমূল শিবিরে বিরাট ভাঙ্গন ধরিয়ে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনশ’র বেশি সংখ্যালঘু পরিবার। সেইসঙ্গে তৃণমূল সিপিএম থেকে আরো একশরও বেশি কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে। সবাইকে নিয়ে চারশোরও বেশি নবাগত সদস্য বিজেপি ভুক্ত হলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফরকালে তৃণমূলের সংখ্যালঘু শিবিরে বিরাট ভাঙ্গন ধরালো বিজেপি।

প্রসঙ্গত, নদীয়া জেলায় বিজেপির নদীয়া জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে হাঁসখালি থানা এলাকার অধীনস্ত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জগন্নাথপুরে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ কর্মসূচি’ গ্রহণ করা হয়েছিল। সবকা সাথ সবকা বিকাশ কর্মসূচীর এই সভায় তৃণমূল ছেড়ে ব্যাপকহারে বিজেপিতে যোগদান করলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে মানুষেরাও যেমন কৃষক, মজুর, প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষেরাও এই সভায় উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন। সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষদের ব্যাপক যোগদানে এই সভা মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হল। সভায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

জগন্নাথপুরের এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মোহাম্মদ আলি হোসেন, নদীয়া জেলা দক্ষিণের সাংগঠনিক সভাপতি অশোক চক্রবর্তী, ৩৮ নং জেড পি-র বর্ষীয়ান জননেতা এক্স,ডি,সি(সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) সুনীল কুমার বিশ্বাস প্রমুখরা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নেতৃত্ব। এই সভায় সিপিএম, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা নবাগত বিজেপি সমর্থকদের হাতে বিজেপি দলের পতাকা তুলে দিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু ছেলের রাজ্য সভাপতি মোহাম্মদ আলি হোসেন ও দক্ষিণের সাংগঠনিক সভাপতি অশোক চক্রবর্তী প্রমুখরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সভাতে অসংখ্য সংখ্যালঘু মানুষ যোগদান করলেন বিজেপিতে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিজেপিকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। তাদের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিল বিজেপি। আজকের এই জনসভাতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সাখ্যালঘু তোষণ ও রাজনীতির অভিযোগ করলেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মোহাম্মদ আলি হোসেন। তিনি জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে দেবেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তোষণ, তুষ্টিকরনের রাজনীতি করছে তৃণমূল। সেইসঙ্গে তিনি তিন তালাক আইন, কেন্দ্রের কৃষি সুরক্ষা আইন, কৃষাণ সমৃদ্ধি যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত ইত্যাদি বিভিন্ন কেন্দীয় প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল চালু করতে না দেওয়ায় বাংলার জনগণ কিভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন সে কথাও জানালেন বিস্তারিত ভাবে।

এদিকে দু’দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাঁকুড়া জেলায় একাধিক কর্মসূচি পালন করে, ফেরেন কলকাতায়। এই পরিস্থিতিতে এতজন সংখ্যালঘু মানুষের বিজেপিতে যোগদান বিজেপির পক্ষে এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এ ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের মনোবল ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। অন্যদিকে রাজ্যসরকারের সংখ্যালঘু শিবিরে ফাটল ধরিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারকে বিশেষ বার্তা দিতে পারল বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!