প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বেশ কিছুদিন আগে তাকে দলের সর্বভারতীয় রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় খুলেছিলেন রাহুল সিনহা। যেখানে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূলের কাউকে জায়গা দেওয়ার জন্য তাকে পদ থেকে সরে যেতে হল। আর এরপরই রাহুল সিনহা ভারতীয় জনতা পার্টি ত্যাগ করতে পারেন বলে নানা মহলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।

তবে বেশ কিছুদিন ধরেই নীরবতা পালন করছিলেন তিনি। সেভাবে দলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। তবে অবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন এই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। যেখানে পরিষ্কার ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, তার দলবদলের জল্পনা ভিত্তিহীন। তিনি বিজেপিতেই থাকছেন। স্বভাবতই এতদিন রাহুল সিনহাকে নিয়ে তৃণমূলের নানা সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা নানা দাবি করলেও, এদিন রাহুল সিনহার এই বক্তব্যের ফলে তৃণমূলের বক্তব্য কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, বর্তমানে রাজ্যে পা রেখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার রাতে অমিত শাহকে কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন রাহুল সিনহা‌। যেখানে তার সাথে বিজেপির দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাভাবিকভাবেই এতদিন রাহুল সিনহাকে দলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা না হওয়ার পর তার দলবলের জল্পনা যখন তীব্র হতে শুরু করেছিল, তখন হঠাৎ করেই অমিত শাহ রাত্রে আসার পর তাকে স্বাগত জানানোর কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকায় বিজেপির একাংশ অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল। আর তারপরই এই ধরনের মন্তব্য রাহুল সিনহার গলা থেকে শুনতে পাওয়ায় তিনি যে বিজেপি ত্যাগ করছেন না, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

একাংশ বলছেন, রাহুল সিনহার বিজেপিতে থাকার মন্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই চাপে পড়ে গেল। তৃণমূলের অনেকেই আশা করেছিলেন, বিজেপি ভাঙিয়ে কোনো হেভিওয়েট নেতাকে তারা নিজেদের দলে যোগদান করাবেন। যার ফলে বিজেপির শক্তি অনেকটাই হতে পারে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল সিনহা।

কিন্তু এবার সেই রাহুল সিনহা অমিত শাহের সফরে স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপিতেই থাকছেন। আর রাহুল সিনহার এই মন্তব্যে বিজেপির যেমন উজ্জীবিত হল, ঠিক তেমনই তৃণমূল অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।