এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের অনুব্রত গড়ে বড়সড় ভাঙ্গন, চাপ বাড়ছে বীরভূমের কেষ্টার

ফের অনুব্রত গড়ে বড়সড় ভাঙ্গন, চাপ বাড়ছে বীরভূমের কেষ্টার


লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর স্লোগান তুললেও তার সৈনিকেরা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। নির্বাচনের মরসুমে বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে আসা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাপটের সঙ্গে নকুলদানা দিয়ে ভোট করানোর কথা বললেও তার জেলার দুটি লোকসভা আসনে তিনি দলকে জিতিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভোট অনেকটাই কমেছে।

এমনকি বিভিন্ন পৌরসভাতেও হার হয়েছে তৃনমূলের। যা নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াচ্ছে শাসক শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের সেই চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে সেই বীরভূমের ময়ূরেশ্বর 1 এর ডাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, গত সোমবার দুপুরে বীরভূমের সিউড়ির এক হোটেলে কোমা পঞ্চায়েতের 7 জন তৃণমূলের সদস্যের মধ্যে 5 জন তাদের দলে যোগদান করেন। যার মধ্যে সেই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ছাড়াও আরও তিন সদস্য রয়েছেন। যদিও বা এই গোটা ঘটনায় বিজেপি ভয় দেখিয়ে সদস্যদের নিজেদের দলে টেনেছে বলে অভিযোগ জানান সিউড়ি 2 ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “চলতি মাসের 4 তারিখে প্রধান সহ বাকিরা দলবদলের জন্য আমার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের মান্যতা দিয়েই তাদের দলে নেওয়া হয়েছে।”

তবে প্রাক্তন দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বিজেপির দিকে টানা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হলেও তা সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছেন দলবদলকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কোমা পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্না বাগদি। তিনি বলেন, “চাপের কাছে বা ভয়ের কাছে নতিস্বীকার করে নয়। নরেন্দ্র মোদির আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।”

আর কোমা পঞ্চায়েতের এই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হয়েছে বিগত তিন সপ্তাহ আগে ময়ুরেশ্বর 1 পঞ্চায়েত সমিতির ডাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রসঙ্গত, 13 আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল 10 টিতে, বিজেপি দুটিতে এবং সিপিএম একটিতে জয়লাভ করে। কিন্তু নির্বাচন মিটে যাওয়ার সাথে সাথেই বাম সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলে বিজেপির সদস্য সংখ্যা 3 হয়ে যায়। আর এবার সেখানে তৃণমূলের 10 জন সদস্যের মধ্যে 5 জন সদস্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোয় 8 জন সদস্য নিয়ে এই পঞ্চায়েত দখলের দাবি তুলল বিজেপি।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বীরভূমে যেভাবে বিজেপি মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, তাতে আতঙ্কিত ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে এবার বীরভূমকে পদ্মফুল মুক্ত করতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট কোনো নিদান দেন কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!