এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত-গড়ে কৃষক বিদ্রোহে টালমাটাল অবস্থা, ঘুম উড়তে চলেছে শাসকদলের

অনুব্রত-গড়ে কৃষক বিদ্রোহে টালমাটাল অবস্থা, ঘুম উড়তে চলেছে শাসকদলের


 

দেশমাতৃকার দুই স্তম্ভ জওয়ান এবং কৃষক। আর সেই 2 স্তম্ভই অচল হয়ে পড়ছে বলে মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু যে কৃষিজমি রক্ষার আন্দোলনের উপর ভর করে 2011 সালে ক্ষমতায় বসে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার সেই কৃষক এবং কৃষিজমিই যেন তাদের ঘুম কেড়ে নিতে চলেছে।

তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন করে সিঙ্গুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার বীরভুমের বোলপুরের কৃষকদের বিক্ষোভ সেই রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল। সূত্রের খবর, বোলপুরের শিবপুর মৌজায় অধিকৃত জমিতে হয় শিল্প করতে হবে, না হলে সেই জমি ফেরত দিতে হবে বলে মঙ্গলবার জমিদাতা অনিচ্ছুক কৃষকরা প্রবল বিক্ষোভে শামিল হলেন।

জানা যায়, এদিন বোলপুর সিনেমাতলার মোড়ে ব্যানার পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পথ অবরোধ করেন সেই কৃষকরা। যাকে ঘিরে উত্তাল হয় অনুব্রত মন্ডলের গড় বলে পরিচিত এই বোলপুর এলাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2001-2 সালে বামফ্রন্ট সরকারের পক্ষ থেকে শিবপুর মৌজায় শিল্পের জন্য 300 একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

কিন্তু 2011 সালে সেই বাম সরকার বিদায় নেওয়ার পরে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসলে সেই জমিতে গীতবিতান আবাসন এবং বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। যার পরেই শিল্প না করার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা। তারা দাবি জানাতে শুরু করেন, হয় এখানে শিল্প করতে হবে, তা না হলে তাদের জমি ফেরত দিতে হবে। এদিন সেই দাবিতে অনড় থেকে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলন করতে দেখা গেল সেই কৃষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে একটি লিফলেটও বিলি করা হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে জমিদাতা অনিচ্ছুক চাষী কুদ্দুস মোল্লা বলেন, “শিল্প করার জন্য জমি নেওয়া হয়েছিল। শিল্প হলে কর্মসংস্থান হত। কিন্তু আবাসন হলে তা হবে না। তাই আমরা চাই জমিতে শিল্প হোক। নয় তো আমাদের জমি আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা ফের তাতে চাষ করে জীবনযাপন করব।”

এদিকে এই বিষয়ে শিবপুর মৌজা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের আহ্বায়ক তপন সাহা বলেন, “শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও শিল্প না হয়ে কোথাও আবাসন, কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়, আবার কখনও মেলা হচ্ছে। জমি ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করা হলে সেখান থেকে জমির উপর নির্মাণ কাজের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাও প্রশাসনের নাকের ডগায় জোরকদমে কাজ চলছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় এই কৃষকদের ভোটেই বাজিমাত করে বিগত সরকারের ঘুম উড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার সেই তৃণমূল সরকারের আমলে যেভাবে কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক, তাতে তৃণমূল এখানে প্রবল চাপে পড়তে চলেছে বলেই মত একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!