এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আপত্তিজনক মন্তব্য করে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়লেন হেভিওয়েট সাংসদ

আপত্তিজনক মন্তব্য করে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়লেন হেভিওয়েট সাংসদ

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করা, রাজনীতিরই একটি অঙ্গ বলে ধরা হয়। কিন্তু এই আক্রমণের নীতি বজায় রাখতে গিয়ে কাউকে মাত্রাতিরিক্ত কুকথা যখন বলা হয়, তখন তা মোটেই শ্রবণযোগ্য হয়না, বরং বিতর্কের সৃষ্টি করে। উপরন্তু এই ধরনের কুকথাকে কেউই সমর্থন করেন না। তবে বর্তমান রাজনীতিতে প্রতিপদক্ষেপে লড়াইয়ের আঙ্গিক হিসাবে উঠে আসছে রাজনৈতিক তর্কবিতর্কের বদলে নানান ধরনের কুকথা। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতি এ ধরনের একটি অসমর্থনযোগ্য কুকথার প্রয়োগ করেছেন কংগ্রেসের শশী থারুর। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এদিন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ‘নপুংসক’ বলে অভিহিত করেন। যার ফলস্বরুপ তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হয়। তীব্র সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে শশী থারুরকে ঘিরে। তবে সমালোচনার মুখে পড়ে শশী থারুর শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। সমগ্র এলজিবিটি গোষ্ঠীর মানুষের কাছে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে কেউ কেউ দাবি তুলেছেন।

সারা দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তুমুল আন্দোলন চলছে। সেই নিয়েই আলোচনা চলছিল সোমবার একটি সংবাদমাধ্যমের সামনে। আর সেখানেই শশী থারুর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,”দু’নৌকোয় পা রেখে চলতে চাইছেন কেজরীবাল। সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে মুখ খুললেও, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। তা নিয়ে প্রতিবাদে নেমেরাজ্যে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁদের সমবেদনাও জানাননি। অন্য কোনও রাজ্যে পড়ুয়াদের এ ভাবে মারধর করা হলে, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের কাছে ছুটে যেতেন, উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। আসলে দায়িত্ব ছাড়াই ক্ষমতা ভোগ করতে চান কেজরীবাল, দীর্ঘকাল ধরে যা নপুংসকরা যেমনটা করে আসছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শশী থারুরের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মিডিয়া জুড়ে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মহলেও শশী থারুরের মন্তব্যকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে দাবি ওঠে ক্ষমা চাওয়ার। সেইমতো সোমবারেই শশী থারুর টুইটারের মাধ্যমে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ”আমার দায়িত্ব ছাড়া ক্ষমতা মন্তব্যে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ব্রিটিশ রাজনীতিতে প্রবাদটি প্রচলিত। কিপলিং, প্রধানমন্ত্রী স্ট্যানলি বল্ডউইন এমনকি সম্প্রতি টম স্টপার্ডের মুখেও সেটি শোনা গিয়েছে। তবে আজকের দিনে সেটি ব্যবহার করা উচিত হয়নি।”

যদিও শশী থারুরের এই ক্ষমা প্রার্থনাতেও মন গলেনি নেটিজেনদের। অনেকেই বলছেন, যেভাবে শশী থারুর ক্ষমা চেয়েছেন, তাতে অনুশোচনার কোন রেশ ছিলনা। অনেকেই দাবি তুলেছেন, শশী থারুর ‘দায়িত্ব ছাড়া ক্ষমতা’ মন্তব্যটি করে ক্ষমা চেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ‘নপুংসক’ মন্তব্যের জন্য কোনরকম ক্ষমা চাননি বা কোনরকম অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। তাই এই নিয়েই এবার দাবি আরও জোরালো হয়েছে শশী থারুরের ক্ষমা প্রসঙ্গে। এবার সমস্ত এলজিবিটি গোষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠেছে।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনীতি করতে গিয়ে যে কোন ধরনের আক্রমণ প্রতিপক্ষকে করতে হয় একথা ঠিকই। কিন্তু সেই আক্রমণের ফলে যদি শালীনতার সীমা লঙ্ঘন হয়, তাহলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। সুশীল সমাজ তা কখনো মেনে নেবে না। তাই এ ব্যাপারগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের স্পষ্টভাবে মাথায় রাখা উচিত। আবার, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সামনেই আসছে দিল্লির বিধানসভা ভোট আর সেখানে নিজেকে কিছুটা লাইমলাইটে আনার জন্য এ ধরনের মন্তব্য করেছেন শশী থারুর। আপাতত বিষয়টি নজরে রেখেছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!