এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কার্যকারিণী বৈঠকে নেই হারের কারণের পর্যালোচনা, নেই আগামী পরিকল্পনা, গুঞ্জন গেরুয়া শিবিরেই

কার্যকারিণী বৈঠকে নেই হারের কারণের পর্যালোচনা, নেই আগামী পরিকল্পনা, গুঞ্জন গেরুয়া শিবিরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হারের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের জল্পনা তুঙ্গে। 200 আসনের লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও কার্যত 77 এ গিয়ে শেষ করে গেরুয়া শিবির। সরকার গড়ার বদলে প্রধান বিরোধীদল হয়েই কার্যত বিজেপিকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। গতকাল ছিল বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠক। আর এই বৈঠকেই বিজেপির গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতাদের কাছে সরকার গড়তে না পারার আক্ষেপের থেকেও বেশি ছিল 3 থেকে 77 হয়ে ওঠার গর্ব। আর তাই নিয়েই গেরুয়া শিবিরের একাংশের মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

গতকাল বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে রাজ্য বিজেপি সভাপতি যেভাবে রাজ্যের রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল হয়ে ওঠার জন্য যেভাবে গর্বিত ভাষণ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই সমাপ্তি ভাষণেও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা হারের কারণ পর্যালোচনা না করে বিজেপির ভোট শতাংশ কিভাবে বেড়ে উঠেছে এই কয়েকদিনে তাই নিয়ে আলোচনা চালিয়েছেন। বরং জেপি নাড্ডার কথায় উঠে এসেছে এ রাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে। সামনে রয়েছে শুধুমাত্র তৃণমূল। তৃণমূলকে সরাতে পারলেই আগামী পাঁচ বছর পর ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতি এখনো আশা রেখেছেন, আগামী 5 বছর পর বিজেপি অবশ্যই 77 থেকে 200 আসনের লম্বা যাত্রা পার করতে পারবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গতকাল হেস্টিংসের বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে জানান, বিজেপি 77 জন বিধায়ক নিয়ে বিধানসভায় পৌঁছেছে। এতদিন পর্যন্ত এত শক্তিশালী বিরোধী বাংলা দেখেনি কোন দিন। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় কিন্তু কিছুটা আভাস পাওয়া গিয়েছে দলের হারের পর্যালোচনা করার। সেক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রতি বিধানসভা ভিত্তিক পর্যালোচনা হওয়া প্রয়োজন। এবং সেখানে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক থেকে রাজ্য পর্যবেক্ষক, জেলা নেতা এবং প্রার্থীদের থাকার প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি বলেছেন। জনসংযোগে ও বেশী সময় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু।

কিন্তু এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা রাজ্য বিজেপির একাংশ জানিয়েছেন, রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন কিন্তু ঠারেঠোরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হারের দায় চাপিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নেতাদের ওপর। রাজ্য বিজেপির একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, হারের কারণ পর্যালোচনা না করে, আগামী দিনের কোন পরিকল্পনার কথা না বলে বৈঠকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মতুষ্টিতে ভুগে কি আগামী দিনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আটকানো সম্ভব? কারণ, তৃণমূল কিন্তু গেরুয়া শিবির কে 77 থেকে আরো নিচে নামাতে যে বদ্ধপরিকর, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই অবস্থায় দলের ভাঙন আরও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!