এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > চিন্তার নাম আসানসোল-দুই হেভিওয়েট নেতাকে দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রকাশ্যে নির্দেশ তৃনমূলনেত্রীর

চিন্তার নাম আসানসোল-দুই হেভিওয়েট নেতাকে দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রকাশ্যে নির্দেশ তৃনমূলনেত্রীর

দুজনেই এলাকার শাসকদলের দাপুটে মেয়র ও মন্ত্রী। রাজনৈতিক দল তৃনমূল হলেও মাঝে মধ্যেই আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারী ও সেখানকারই মন্ত্রী মলয় ঘটকের অনুগামীদেল গন্ডোগোলে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয় তৃনমূল শীর্ষনেতৃত্বকে। এবারে সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে বৃহস্পতিবারের দলের কোর কমিটির সভামঞ্চ থেকে দুই নেতার সমস্ত ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার তৃনমূল নেতাদের অনেকাংশের মতে, মলয় ঘটক তৃনমূলের প্রদমদিনের সঙ্গী। তাই প্রথম থেকেই সেই সংগঠনের নিয়ন্ত্রন ওনার হাতে থাকলেও ভাই দেবাশিস ঘটকই এলাকার সংগঠন বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা নিতেন। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারী সেক্ষেত্রে তৃনমূলের নতুন সদস্য। কারন তিনি দল প্রতিষ্টার অনেক পরেই এই তৃনমূলে যোগ দেন। তবে দলের অপরপক্ষের মতে, 2014 সালে লোকসভা ভোটে আসানসোলের তৃনমূল প্রার্থী দোলা সেনের হারের পর এই মলয় ঘটকের দিকে অভিযোগ উঠলে কেড়ে নেওয়া হয় মন্ত্রীত্ব। এরপরই এলাকায় প্রভাব বাড়তে শুরু করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির। এমনকী তিনি মেয়রও হন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

সূত্রের খবর, শুধু এখানেই শেষ নয়। 2016 র বিধানসভাতেও সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব ছিল এই জিতেন্দ্র তিওয়ারী ও শিবদাসনের হাতে। এমনকী আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র নেতৃত্বে মলয় ঘটকের বাড়ি ঘেরাও অভিযানেও পরোক্ষ মদত দেন তৃনমূলের এই জিতেন্দ্র গোষ্টী বলে অভিযোগ। তৃনমূল সূত্রের খবর, সম্প্রতি মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারী সম্পর্কে রাজ্যের কাছে নানা অভিযোগ জমা পড়ে। আর তার পরেই ফের মলয় ঘটকের হারানো মন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দিয়ে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বৃহস্পতিবৃর দলের কোর কমিটি থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” মলয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি কর।” এ প্রসঙ্গে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ” মলয়বাবু অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তাঁর কাছে পরামর্শ নিলে ভালোই হবে। আমরা একসাথে দিদের নির্দেশ মেনে কাজ করব।” তবে এ প্রসঙ্গে মলয় ঘটক কিছু না বললেও শুধু ” ভালো কথা” বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে একদা মেয়র ঘনিষ্ট তথা দলের জেলা সভাপতি শিবদাসনের মতে, “নেত্রীর নির্দেশ মতই চলা উচিত দলের সকলের।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে উথ্থান পতন থাকবে। সব মিলিয়ে আসৃনসোলের মলয় ঘটক এখন নেত্রীর “গুডবুক”এ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!