রাজ্য সরকারের আয়ূশ চিকিৎসা নিয়ে অনীহা নিয়ে মুখ খুলল খোদ তৃণমূলেরই চিকিৎসক সংগঠন রাজ্য November 12, 2018 দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের সরকারী স্তরে আয়ূশ চিকিৎসা গুরুত্ব হারাচ্ছে। ফলত এই বিষয়ে পঠনপাঠন নিয়ে অনীহা তৈরি হচ্ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। এ বছর অনলাইন এবং মপ আপ কাউন্সিলিং-এর পর এক চোখ কপালে ওঠার মতো ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের সমস্ত আয়ূশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মিলিয়ে অর্ধেকের বেশি স্নাতক আসন ফাঁকা। সবমিলিয়ে ৬৬৬ টি আসনে নিট পাশ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কাউন্সিলিং হয়েছিল। তার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৩৫০ টির ও বেশি আসন। সরকারি হোমিওপ্যাথিক কলেজগুলোতে ফাঁকা আসন রয়েছে ১১ টি। অন্যদিকে,ছ’টি বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক কলেজে ফাঁকা আসনের সংখ্যা যথাক্রমে ৪১, ৩৯, ৪৪, ৫৫, ৪৪ এবং ৫৬। এছাড়া রাজ্যের একমাত্র বেসরকারি আয়ুর্বেদ স্নাতক কলেজে ৩৭টি এবং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটস্থিত একমাত্র ইউনানি কলেজে ৩৫টি আসন ফাঁকা। এদিন এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর চিন্তায় মাথায় হাত পড়ে তৃণমূলপন্থী আয়ূশ চিকিৎসক সংগঠনটির। কী হবে আয়ূশ চিকিৎসার ভবিষ্যত? এ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলপন্থী আয়ূশ ডাক্তারদের সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (হোমিওপ্যাথিক এনএইচএম সার্ভিস)-এর রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যা থেকে বেরোতে উপায় বাতলে দিলেন। এরকম অবস্থা হলে আয়ূশ চিকিৎসার ভবিষ্যত এ রাজ্যে সত্যিই সংকটজনক। তাঁর সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এবং রাজ্য বাজেট মিলিয়ে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ১৫০০ আয়ূশ চিকিৎসক এই মুহূর্তে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত রয়েছেন। চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের মাসিক ভাতা মাত্র ১৬ হাজার টাকা। এতো কম বেতন পেলে কেন কেন আয়ূশ পড়তে যাবে? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তিনি। জানালেন,সরকারি স্তরে আয়ূশ ডাক্তারদের জন্যে আরো বেশি সংখ্যা পদ সৃষ্টি না করলে,সম্মানজনক বেতন দেওয়া না হলে প্রতি বছর আয়ূশ মেডিক্যাল কলেজগুলির সব আসন পূরণ হবে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি আবেদন জানালেন,রাজ্যের সরকারি আয়ূশ ডাক্তারদের স্থায়ী পদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সম্মানজনক বেতনের ব্যবস্থা করা হোক। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর চাকরির সুযোগ যদি বাড়ে তবো নিশ্চয়ই ছাত্রছাত্রীরা আয়ূশ পড়তে উৎসাহী হবে। নবান্ন কর্তারা এখনো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্যে না করলেও আশা করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী খুব জলদিই এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন। লোকসভা ভোটের আগে আয়ূশ চিকিৎসক দের নিশ্চয়ই তিনি অসন্তুষ্ট করতে চাইবেন না ভোটব্যাঙ্কের খাতিরে,এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল। আপনার মতামত জানান -