এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কয়লা পাচারকান্ডে এবার আর্থিক দুর্নীতির যোগ খোঁজ শুরু সিবিআই-এর চাপ বাড়ছে প্রভাবশালীদের!

কয়লা পাচারকান্ডে এবার আর্থিক দুর্নীতির যোগ খোঁজ শুরু সিবিআই-এর চাপ বাড়ছে প্রভাবশালীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির যোগসাজশ খুঁজতে পদক্ষেপ গ্রহণ করল সিবিআই। জানা গেছে, এই কয়লা পাচারের অন্যতম পান্ডা অনুপ মাঝির সঙ্গে সরকারি স্তরে কাদের কাদের যোগাযোগ ছিল, তা নিয়ে তথ্য জোগাড় করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই এই সমস্ত তথ্য জোগাড় করে তার নথি যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।

কেননা সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যদি এই কয়লা পাচার চক্রের মূল পান্ডা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রমাণ করা যায়, তাহলে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করার দিকে এগোতে পারে সিবিআই। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরুলিয়া, দুর্গাপুর সহ এই সমস্ত এলাকায় যেভাবে বেআইনি উপায় কয়লা তোলা হয়েছে, তাতে সরকারি একশ্রেণীর সহযোগিতা ছাড়া তা কার্যত অসম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের কোন কোন কর্তাব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে, এখন তার রহস্য উন্মোচন করাই প্রধান টার্গেট সিবিআইয়ের কাছে।

ইতিমধ্যেই খোঁজ নিয়ে সিবিআই জানতে পেরেছে যে, এই সমস্ত এলাকায় সেই লালার লোকজন মাটি পরীক্ষা করে। যা একমাত্র সরকারি অনুমোদিত সংস্থা করে থাকে। এক্ষেত্রে কয়লার খোঁজ মিললেই বেআইনিভাবে তুলে দেয় সেই কয়লা পাচারকারী পান্ডার দলবল। এক্ষেত্রে যেহেতু তার পান্ডারা সমস্ত কাজের সাথে যুক্ত থাকে, তাই লালার কাছে খবর চলে আসে যে, কোথায় কতটা কয়লা আছে। তবে সেই তথ্য পৌঁছানোর কাজ একমাত্র বৈধ খাদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা করে থাকেন।

‌সেদিক থেকে সেই সমস্ত অফিসারদের মধ্যে কারা কারা রয়েছে এবং তার মধ্যে কারা কারা প্রভাবশালী, এখন তা দেখার বিষয় সকলের কাছে। সিবিআইয়ের দাবি, এই লালার কোম্পানি বেআইনি খাদানের কয়লা সরবরাহ করত‌‌। কাগজে-কলমে অন্য কোম্পানির নাম ব্যবহার করা হত। আর এই সমস্ত কাজ হত সরকারি আধিকারিকদের মদতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এক সিবিআই অফিসার বলেন, “সরকারি আধিকারিকদের সহযোগিতা ছাড়া লালার পক্ষে খনি এলাকায় একচ্ছত্র অধিপতি হওয়া সম্ভব ছিল না। এই তালিকায় কারা কারা রয়েছে, সেটা স্পষ্ট হলেই দুর্নীতি অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে আসবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যিই এই ঘটনায় তেমনভাবে কোনো সরকারি আধিকারিকদের নাম জড়িয়ে থাকে, তাহলে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়বে রাজ্য সরকার। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।

তার আগে এমনিতেই এই সমস্ত এলাকায় লালার দাপট নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ করা হয়। আর সিবিআই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই যদি একাধিক প্রভাবশালীর নাম বেরিয়ে আসে, তাহলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!