এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাবরি রায় নিয়ে চুপ কেন মমতা? প্রশ্ন তুলে খোঁচা অধীরের

বাবরি রায় নিয়ে চুপ কেন মমতা? প্রশ্ন তুলে খোঁচা অধীরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন সময় বিজেপি বিরোধিতায় সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু সম্প্রতি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় রায়দান করা হলেও কেন এই ব্যাপারে নীরবতা পালন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালকৃষ্ণ আডবাণী সহ 32 জন অভিযুক্তকে বেকুসুর খালাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরিকল্পনা করে কোনো কিছুই করা হয়নি।

যার জেরে এই ঘটনায় বিজেপি অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে নানা মহলে যখন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে, তখন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেত্রী চুপ! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। সূত্রের খবর, এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি তৃনমূলের যে নেতারা কথায় কথায় টুইট করেন, তারা কি আজ সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন! তারা কি জানেনই না বাবরি ধ্বংস মামলায় সব অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করা হয়েছে। আমি বরাবরই বলেছি, তৃনমূল ধর্মনিরপেক্ষ দল নয়। একদা বিজেপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোস্তি ছিল। আদালতের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালে পাছে হিন্দুরা অসন্তুষ্ট হন, তাই তৃণমূল এখন ঘাপটি মেরে আছে।”

যদিও বা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃনমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলে পাল্টা তার জবাব দিয়েছেন তৃনমূল সাংসদ সৌগত রায়। এদিন তিনি বলেন, “এই রায়ে খুবই হতাশ। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ প্রতীক ছিল একটা মসজিদ। সেটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। হাজার হাজার লোক জমা হল। আদালত বলল, কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। ভিড়ের জন্য হয়ে গিয়েছে। এটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, এই রায়ের ফলে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের এই হেভিওয়েট সাংসদ। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এই রায়ে ধর্মনিরপেক্ষতা ধাক্কা খাবে। এখন আদালতের সব রায় কেন্দ্রের শাসকদলের পক্ষে হচ্ছে। রামজন্ম ভূমির ব্যাপারেও হয়েছে। আমি ভাবছিলাম এমনটাই হবে।” অর্থ্যাৎ তারা যে এই মামলার রায়ে খুশি নয়, তা নিজেদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করার চেষ্টা করলেন তৃনমূল সাংসদ সৌগত রায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি বিরোধিতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে নিজেকে সারাদেশের মধ্যে তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষিবিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় তৃনমূল নেত্রীকে। কিন্তু বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়ের পর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আর কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী সেই ব্যাপারে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতেই আরও অস্বস্তিতে পড়েছিল ঘাসফুল শিবির। যার পরবর্তীতে মুখ খুলে সেই রায়ের বিরোধিতা করতে দেখা গেল তৃণমূলের সৌগত রায়কে। সব মিলিয়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়ের পরেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সোরগোল সৃষ্টি হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!