এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বাজতে চলেছে কি ভোটের দামামা? জেলাশাসকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নির্বাচন কমিশনের

বাজতে চলেছে কি ভোটের দামামা? জেলাশাসকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নির্বাচন কমিশনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পদধ্বনি। নির্বাচন বিষয়ে জোরদার প্রস্তুতি সমস্ত রাজনৈতিক দলের। সম্প্রতি, রাজ্যসফর করে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এই বৈঠক থেকে দ্রুত রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার তীব্র জল্পনা ছড়ালো।

গতকাল রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক চলল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের। ভার্চুয়াল মাধ্যমে গতকাল এক বিশেষ বৈঠক ডেকে ছিল সিইও দফতর। এই বৈঠকে আগামী নির্বাচনের জন্য দ্রুত বুথ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথ তৈরির জন্য কি কি প্রয়োজন? তার তালিকা দ্রুত প্রস্তুতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১০ ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে বুথ তৈরির জন্য যা যা প্রয়োজন, তার তালিকা করে তা সিও দফতরে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো এই বৈঠকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বৈঠক থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট দ্রুত ঘোষিত হতে পারে বলে মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে নির্বাচন আয়োজন করার সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই, যেকোনো সময় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। এ কারনেই বুথ গুলিকে দ্রুত প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়া হলো। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনে বুথ সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে জানানো হয়েছিল।

রাজ্য থেকে করোনা সংক্রমণ এখনও দূর না হওয়ার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বুথ প্রতি ভোটার সংখ্যা গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবারে কমানো হবে বলে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এ কারণেই বুথ সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেবে। আর বুথ সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভোট কর্মী, নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাও বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে এবার রাজ্যে নিরাপদ ও অবাধ ভোটের দিকে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সচেষ্ট নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা নির্বাচনকে নিরাপদ ও অবাধ করে তুলতে রাজ্যে অধিক সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ কারণে দ্রুত নির্ঘন্ট ঘোষণা করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হতে পারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল কুমার অরোরা পুুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার বিষয় বারবার অভিযোগ করেছে রাজ্যের একাধিক বিরোধী মহল। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!