বাম-কংগ্রেসের লড়াইতে অবশেষে জয় কংগ্রেসের, আংশিক আসন সমস্যা মেটার মুখে কংগ্রেস নদীয়া-২৪ পরগনা বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য March 27, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপিকে টেক্কা দিতে বাম, কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর আইএফএস মিলে তৈরি হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। তবে সংযুক্ত মুদ্রা তৈরি হলেও তা বাস্তবায়নের রাস্তায় বেশ কিছু বাধা এসে উপস্থিত হয়েছে। বারংবার আসন রফা নিয়ে মোর্চার মধ্যেই লাগছে বিরোধ। ইতিমধ্যেই আসন ভাগাভাগির কথা সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মোর্চার অন্যদল প্রার্থী দিয়ে দিচ্ছে। যেমন শান্তিপুরে হয়েছিল। শান্তিপুর নিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে একটি স্নায়ুযুদ্ধ চলছিলো এতদিন ধরে। অবশেষে জয় হল কংগ্রেসের। আসন সমঝোতা নিয়ে জোটের মধ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে শান্তিপুর আসনটি নিয়ে প্রথম থেকেই টানাটানি চলছিল। কংগ্রেসের দাবি ছিল, গতবার শান্তিপুর থেকে কংগ্রেস প্রার্থী জয়লাভ করেছিল। তাই এবারও তাঁদেরকে ওই আসনটি ছাড়তে হবে। কিন্তু আলিমুদ্দিনের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের এই যুক্তি মেনে নেওয়া হচ্ছিল না। বামেদের পাল্টা যুক্তি ছিল, গতবার নদীয়া জেলার তিনটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন ঠিকই। কিন্তু তাঁরা মাঝপথে দলত্যাগ করে দুজন তৃণমূল এবং শান্তিপুরের বিধায়ক বিজেপিতে গিয়ে যোগ দেন। অতএব এর ভর্তুকি দিতে হবে কংগ্রেসকে। আর সে কারণেই শান্তিপুর আসনটিকে নিজেদের বলে দাবী করতে থাকে বামেরা। এমনকি বিমান বসু জানিয়ে দেন শান্তিপুর আসনের প্রার্থী থাকবে বামেদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শান্তিপুর আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়। যথারীতি এই ঘটনা মোর্চার লক্ষ্যকে যথেষ্ট ধাক্কা দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের বিবাদের জল গড়ায় দিল্লী পর্যন্ত। দিল্লিতে দুই শীর্ষ নেত্রীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে শান্তিপুর আসনটি ছেড়ে দিতে হবে। তবে শান্তিপুরের সমস্যা মিটলেও এখনো পর্যন্ত দেগঙ্গা, সামশেরগঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি আসনে জোটের জটিলতা অব্যাহত। রাত পোহালেই ভোট। শনিবার ভোট হতে চলেছে বাগমুন্ডি এবং জয়পুরে। সুতরাং এই দু’টি আসনে সমস্যা মেটার আর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বাকি আসনগুলোতে যা করার তা করতে হবে দ্রুতগতিতে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেগঙ্গা আসনটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ফরওয়ার্ড ব্লক এর সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের লেগে গেছে বিরোধ। দুই পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আলিমুদ্দিন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা মেলেনি বলে জানা যাচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলেও সংযুক্ত মোর্চার এই জটিলতা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। আপাতত দেখার, নির্দিষ্ট আসনের সমস্যা মিটিয়ে সংযুক্ত মোর্চা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে কিনা! আপনার মতামত জানান -